কলকাতা: কোথাও প্রার্থনা, কোথাও পুজোপাঠ। এভাবেই শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বড়দিনে উৎসবের (X-Mas Celebration) স্রোতে ভাসছে বাংলা (West Bengal)। করোনা (Covid 19) কাঁটার মুণ্ডপাত করে ভোররাত থেকে ট্যুরিস্ট বাস ভর্তি করে শহর থেকে কাছেপিঠে কিংবা একটু দূরে চড়ুইভাতিতে মেতেছেন কর্মক্লান্ত মানুষ। শনিবার মধ্যরাতে পর্তুগিজ গির্জায় (Church) হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM mamata Banerjee) ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিবেকানন্দের (Swami Vibekananda) ইচ্ছা অনুযায়ী বেলুড মঠ (Belur Math) সহ প্রতিটি মিশনে যিশুপুজো হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: Weather: বড়দিনেও প্রত্যাশিত ঠাণ্ডা পড়ল না, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি বেড়েছে
দীঘা থেকে দার্জিলিং, বনগাঁ থেকে বনপাহাড়ি কোথাও আজ খুশি সীমা নেই। আনন্দের সম্মোহনে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই গির্জাগুলি যিশুর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কলকাতা তো আছেই, তার সঙ্গে দার্জিলিং, ব্যান্ডেল, কৃষ্ণনগর, মালদহ, মেদিনীপুরের গির্জাগুলিও আলো ও যিশুর জীবন আলেখ্য নিয়ে মূর্তি তৈরি করে সাজিয়ে তুলেছে।
মধ্যরাতের প্রার্থনায় বহু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ হাজির হয়েছিলেন। বাঙালিদের ঘরেও এখন আলো দিয়ে সাজানো ক্রিসমাস ট্রি, সান্তার টুপি ছেয়ে গিয়েছে। বিশেষত বড়দিন ও ১ জানুয়ারির সঙ্গে বনভোজন যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বঙ্গজীবনে। সে অযোধ্যা পাহাড়ের ঝরনাধারাই হোক কিংবা দীঘার সৈকত। ফরাক্কা কিংবা শুশুনিয়া পাহাড়। টাকির ইছামতীর তির তো জনঅরণ্যের চেহারা নিয়েছে সকাল থেকেই। কলকাতার চিড়িয়াখানায় ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।
ব্যান্ডেল চার্চ দেখে ফাউ দর্শন হিসেবে ইমামবাড়াতেও নৌকাবিলাস করে চলেছেন অনেকে। শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন, ইকো পার্ক কিংবা নিক্কো পার্কেও বহু মানুষ অঘোষিত সমাবেশের মতো জড়ো হয়েছেন। বড়দিন উপলক্ষে পুলিশও যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। পার্ক স্ট্রিটে রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এছাড়াও সব জেলাতেই সাদা পোশাকে পুলিশের প্রমীলা বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে। উৎসাহের বাড়াবাড়ি কিংবা রোমিওগিরি করলেই খপ্পরে পড়তে হতে পারে। তবে বিধি অমান্য করে সকাল থেকেই ডিজে বাজছে বহু জায়গাতেই।