বেজিং: চীন (China) ২০৩৫ সালের মধ্যে পরমাণু বোমা তিনগুণ বাড়াতে চলেছে। বাড়ানো হচ্ছে বায়ু সেনার শক্তি। আমেরিকার (Us) একটি রিপোর্টে মঙ্গলবার এই দাবি করা হয়েছে। তা সংখ্যায় আমেরিকা ও রাশিয়ার চেয়ে অনেক যোজন দূরে থাকলেও যা পেন্টাগণের কাছে চ্যালেঞ্জ। এমনটাই মনে করছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি, হাউস অফ কমনসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান সফর ঘিরে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক পউত্তপ্ত হয়েছিল। তারপরে দুদেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, এবার ফের আমেরিকার এই সতর্কতার রিপোর্ট ঘিরে দুদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা।
আমেরিকার ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনে পরমাণু বোমা ইতিমধ্যে সংখ্যায় ৪০০ ছাড়িয়েছে। চীন এভাবে বাড়াতে থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে তা ১৫০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। চীন যে নতুন অত্যাধুনিক পরমাণু বোমা তৈরি করছে তা আমেরিকা ও রাশিয়ার সমতুল। বেজিং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আর্সেনালকে আরও আধুনিক করে তুলছে।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চীন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (Inter Continental Ballistic Missile) তৈরি করছে। যা পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি, বিশ্বের তৃতীয় ক্ষমতাধর বায়ুসেনাকে (Airforce) আরও শক্তিশালী করছে বেজিং। ইতিমধ্যে তাঁদের ২৮০০ এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ করার আগে এক আমেরিকার আধিকারিক বলেন, সব দিক দিয়ে বায়ুসেনাকে শক্তিশালী করছে বেজিং (Bejing)।
আরও পড়ুন: Prannoy & Radhika Roy: এনডিটিভি বোর্ড থেকে ইস্তফা প্রণয় ও রাধিকা রায়ের
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন চীনের প্রতিরক্ষা সচিব ওই ফেঙের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে বলেন, ২০২১ ও ২০২২ সাল ধরে অপেশাদার এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে চীন সমুদ্রপথে ও আকাশপথে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।