অ্যাম্বুল্যান্স (ambulance) চালকের গাফিলতিতে মাতৃগর্ভেই মৃত্যু (death) হল শিশুর৷ এই অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কালচিনিতে (kalchini)। সূত্রের খবর, গত রবিবার (Sunday) কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া এলাকার বাসিন্দা হাসান আনসারির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুরেশা খাতুনকে সন্তান প্রসব করানোর জন্য লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর খুরেশার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা (doctors)।
খুরেশার পরিবারের অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালের আ্যম্বুল্যান্স চালক (ambulance driver) তাঁদের কাছে রোগিণীকে স্থানান্তরিত করার জন্য ৫০০ টাকা দাবি করে৷ তা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক অন্তঃসত্ত্বা খুরেশাকে আ্যম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে দেন৷ এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দুপক্ষের বচসা চলে৷ এরপর খুরেশার পরিবারের সদস্যরা অন্য একটি আ্যম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যায়৷ এতে প্রায় ৩ ঘন্টা নষ্ট হয়। এদিকে খুরেশাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা জানান, মাতৃগর্ভেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে৷
আরও পড়ুন: Visva Bharati: বিশ্বভারতীর গৃহবন্দি উপাচার্য বাড়ি ছাড়তে চাওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা, মোতায়েন পুলিশ
এই ঘটনার পরে এদিন লতাবাড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন খুরেশার পরিবারের সদস্যরা৷ পাশাপাশি, আ্যম্বুল্যান্স চালকের (ambulance driver) বিরুদ্ধে তাঁরা কালচিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এদিন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ কুমার কর্মকার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অন্যদিকে, কালচিনি (kalchini) ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হায়দার আনসারি বলেন, হাসপাতালে গজিয়ে ওঠা দালালচক্র ভাঙতে হবে। দোষী অ্যাম্বুল্যান্স চালকের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে৷