কলকাতা: আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির অনুমোদন নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসকদের (District Magistrate) নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। নবান্নের (Nabanna) নির্দেশ, আগামী দু’দিনে ৮৪ শতাংশ বাড়ির অনুমোদন দিতে হবে জেলাগুলিকে। এখনও পর্যন্ত আবাস যোজনার অধীনে ১ লক্ষ ৮১ হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে বাকি ৮৪ শতাংশ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ। যার কারণ, আগামী বছরের ৩১ মার্চ অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার অধীনে ১১ লক্ষ চব্বিশ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে।
ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুরের মত জেলাগুলিতে আবাস যোজনার অধীনে আগের তালিকার ৪০ শতাংশেরও বেশি নাম বাদ গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিবের বার্তা, দুদিনের মধ্যেই আপনারা দ্রুত কাজ শেষ করুন। প্রয়োজন হলে দিনরাত জেগে কাজ করুন। রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনা বিক্ষোভের আবহে মুখ্যসচিবের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যের বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।
বুধবারও আবাস যোজনা বিক্ষোভে উত্তপ্ত উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। আবাস যোজনায় প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার পুরন্দপুর পঞ্চায়েত (Panchayat)কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২ সালে প্রকাশিত আবাস যোজনা তালিকায় ১১০৬ জন উপভোক্তার নাম থাকলেও, সার্ভের (Survey) পর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩২৯ জনে। সিংহভাগ নাম বাদ যাওয়ায় এদিন শতাধিক মানুষজন একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান।
একই ছবি হুগলির শ্রীরামপুরে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Awaas Yojna) বাড়ী পেয়েছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠরা। এই অভিযোগে শ্রীরামপুর-এর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির। পরে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল বিডিও কে ডেপুটেশন জমা দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে চুনাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ (Agitation) কয়েকশো গ্রামবাসী। তাদের দাবি প্রকৃত অসহায় ব্যক্তিরা ঘর পাচ্ছেন না তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার (Awaas Yojna) ঘর থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সাধারণ মানুষ ও দরিদ্রদের। এই অভিযোগে বুধবার জলপাইগুড়ি রংধামালি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় পাতকাটা ডোডালিয়া পাড়ার বাসিন্দারা।