ঝাড়গ্রাম: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীদের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerj)। কুড়মিরা (Kurmi) এই কাজ করতে পারে না। কুড়মিদের নাম করে বিজেপি এই কাজ করছে। অভিষেকের উপর বারবার হামলা করছে বিজেপি। এমনকি আদিবাসী মা-বোনেদেরও ছাড়ছে না তাদেরকেও হেনস্তা করছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ নয়া গ্রাম থেকে কুড়মি আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাজেশ মাহাতকে আটক করেছে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ওই হামলা কুড়মিরা করতেই পারে না। ওটা বিজেপির কাজ, সেখানে কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করা হল কেন? ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি শুক্রবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মেল করে জানায়, শনিবার তারা মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে। প্রশাসনের দেওয়া সময় মেনেই তা দেওয়া হবে। প্রশাসন যেন সেইমতো ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু এদিন পুলিশ কুড়মিদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেয়নি।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়া হবে বলে কুড়মিদের একটি প্রতিনিধিদলকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাত বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে আমরা থানা থেকে বেরিয়ে যাই। পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Niti Ayog | নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী, তোপ বিজেপির
শুক্রবার শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর কনভয়ের বাকি গাড়িগুলির উপর হামলা চলে। তৃণমূলের আরও অনেক নেতা মন্ত্রীর গাড়ি দহিঝুরি থেকে শালবনির দিকে যাচ্ছিল। মাঝ পথে বিক্ষোভকারী কুড়মিরা সেসব গাড়িতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িও আক্রান্ত হয়। তাঁর গাড়ির চালক গুরুতর জখম হন। মন্ত্রীর গায়েও আঘাত লাগে। গাড়ি থেকে নেমে তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তবে পুলিশ অভিষেকের গাড়ি নিরাপদে বার করে দিয়েছিল। যদিও শনিবার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, গতকাল অভিষেকের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
মমতা বলেন, শালবনিতে জ্যোতিবাবুরা জিন্দালদের জমি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর কিছু হয়নি। জিন্দালদের এই কারখানা আমি এসে উদ্বোধন করেছিলাম। জিন্দালদের কারখানার পর যে জমিটুকু ওদের কাজে লাগেনি, সেটা ওরা আমাদের ফেরত দিচ্ছে। এখানে একটি বড় শিল্পকেন্দ্র তৈরি করছি। ছয়টি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, অলচিকি ভাষার কোর্স করা হয়েছে। আমি ঠিক করেছি, আগামী দিনে আমি নিজে একটি ট্রাইবাল ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরি করব। আমি নিজে চেয়ারম্যান থাকব। আমার সঙ্গে বীরবাহা হাঁসদা ও অন্যান্য আদিবাসী ভাইবোনরা থাকবেন। মমতা বললেন, আজ মণিপুরের অবস্থা দেখুন। এত লোক মারা গিয়েছে। কই, আজ পর্যন্ত তো বিজেপির। মণিপুরে রক্ত ঝরছে। আর কেউ কেউ কোথাও রক্ত ঝরে, মানবিকতার স্বার্থে পাশে দাঁড়াতে হয়। আমিও যেতে চাই মণিপুর। কিন্তু আমাকে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।