উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল চেলসি এবং বেনফিকা। মঙ্গলবার রাতে দুই দলেরই ছিল হোম ম্যাচ। লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ মাঠে চেলসি ২-০ গোলে হারিয়ে দিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল চেলসিকে। তাই দুই পর্ব মিলিয়ে চেলসি জিতে গেল ২-১ গোলে। চেলসির হয়ে গোল করলেন রহিম স্টার্লিং এবং কাই হাভার্ৎজ। অন্য ম্যাচে লিসবনে নিজেদের মাঠে বেনফিকা ৫-১ গোলে হারিয়ে দিল বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রাগকে। প্রথম লেগে ব্রাগের মাঠে বেনফিকা জিতেছিল ২-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে তারা জিতল ৭-১ গোলে।
চেলসি-ডর্টমুন্ড ম্যাচ পনেরো মিনিট দেরিতে শুরু হয়। কারণ লন্ডনের রাস্তায় চেলসির সমর্থকদের ভিড়ে ডর্টমুন্ড ফুটবলারদের নিয়ে বাস দেরিতে পৌছয়। এর জন্য ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়। ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য ডর্টমুন্ডের দাপট বেশি ছিল। ইদানিং চেলসির সময়টা ভাল যাচ্ছিল না। কিন্তু ডর্টমুন্ডের দাপটের মধ্যেও তারাই প্রথম গোলটা করে। ৪৩ মিনিটে তাদের হয়ে গোলটা করেন ঋইম স্টার্লিং। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন কাই হাভার্ৎজ। তাঁর প্রথম পেনাল্টি শটটা বাতিল হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বার তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করেন। ব্রাগের বিরুদ্ধে বেনফিকার প্রাধান্য নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। কারণ প্রথম লেগে ব্রাগের মাঠেই বেনফিকা ২-০ গোলে জিতেছিল। মঙ্গলবার বেনফিকা প্রথম গোলটি করে ৩৮ মিনিটে। গোল করেন আর সিলভা। এর পর জি র্যামোস প্রথমার্দ্ধের সংযুক্ত সময়ের দুই মিনিটে গোল করলে বিরতির সময় ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বেনফিকা। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে আবার গোল করেন র্যামস। এর পর ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান জে মারিও। ৭৭ মিনিটে ডি নেনেস আবার গোল করলে বেনফিকা পাঁচ গোলে এগিয়ে যায়। ৮৭ মিনিটে ব্রাগেরবি মেইজারের গোলটি তাই খানিকটা সান্ত্বনার মতো।