চন্দননগর: আজ, সোমবার সপ্তমী। রবিবার ষষ্ঠীর রাতেই জনজোয়ারে ভেসেছিল চন্দননগর। উৎসবের মরশুমে সব পুজো যখন শেষ, সবাই কাজে ফেরার তোরজোড় শুরু করছেন, তখন এই চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর ও মানকুণ্ডু আলোর জোয়ারে ভাসছে।
চন্দননগরের নতুন তেলিঘাট বারোয়ারির এবার ৫৫ বছর। এবার তাদের থিম বজরা বা সোনার তরী। মণ্ডপজুড়ে বিশাল তরীতে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। মূল আকর্ষণ প্রতিমার সাজ। প্রতিমার সাজে স্টোনের কাজ। মণ্ডপ তৈরি করেছে এলাকার ছেলেরাই।
শুকসনাতনতলা বারোয়ারির এবারে ৫১ বছর। তাদের ভাবনা দৃষ্টিকোণ। করোনাকালে জগদ্ধাত্রীর দৃষ্টি মানুষের উপর থেকে সরে গিয়েছিল বলে ধারণা তাদের। মা এখন মানুষের উপর দৃষ্টি দিয়েছেন, বদল ভাবনার। তাই মানুষ এবার করোনা মুক্ত হয়ে পথে নেমেছে।
আরও পড়ুন: Dengue: এবার ডেঙ্গি আক্রন্ত হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতার
বিন্দুবাসিনী পাড়ায় ৫০ বছরে পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে সমুদ্রের তলার পরিবেশ নিয়ে। সমুদ্রের জলের দূষণও তুলে ধরা হয়েছে থিমের মাধ্যমে। পাড়ার ছেলেরাই নিজেদের হাতে একটু একটু করে তৈরি করেছেন তাদের ৫০ বছরের এই মণ্ডপ। সঙ্গে অসাধারণ সুন্দর ডাকের সাজের মাতৃপ্রতিমা।
বোড় তালডাঙার পুজো এবার ৫৩ বছরে পদার্পণ করল। তাদের এবারের থিম দূরদর্শন। মন্ডপের সামনেই একটি বিশাল গ্রামোফোন। অসংখ্য পুরনো রেডিও, ক্যাসেট, সিডি দিয়ে মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ক্যাসেটের ফিতে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলার জনপ্রিয় গায়ক গায়িকাদের অবয়ব। প্যান্ডেলের বিভিন্ন জায়গায় লেখা চিরকালীন বিখ্যাত বাংলা সব গানের লাইন। মন্ডপে অপরূপ ডাকের সাজের কাজ মাতৃ প্রতিমার। ডাকের সাজে গ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই মন্ডপে।