বিষ্ণুপুর: ভোট হিংসায় মৃত্যু হল বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর (BJP’s Gram Panchayat candidate)। এই নিয়ে রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে ৩৭ দিনে ৫০ জনের মৃত্যু হল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই প্রার্থী। শুক্রবার ভোলানাথ মণ্ডল নামে ওই বিজেপি প্রার্থীর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে মৃত্যু বিজেপির পরাজিত প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ভোলানাথ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভোটের তিন দিন আগে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর ওপর হামলা চালায়। তিনি বিজেপির টিকিটে কেন লড়ছেন, তা নিয়ে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর তলপেটে, বুকে লাথি মারা হয়। এবং বন্দুকের বাঁট দিয়ে চোখে আঘাত করা হয়। পরিবারের দাবি, ভোলানাথের ইউএসজি রিপোর্ট খুব খারাপ আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | সালারে ১৭টি বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় পুলিশের
বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের খুনের রাজনীতির জন্য তাঁদের একের পর এক কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী দিলীপ নস্কর এবং তাঁর অনুগামীরা মারধর করেছেন ভোলানাথ মণ্ডলকে।
মনোনয়নের পর থেকে দফায় দফায় হামলা, মারধর, বোমাবাজি, এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে জেলায় জেলায়। শুক্রাবার সকালেই এনআরএসে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল কর্মীর। বিষ্ণুপুরেই এদিন তৃণমূলের (TMC) বিজয় মিছিল ঘিরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়ের। সৃতের নাম অলকা রুইদাস।