Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | ২০২৪-এ বিজেপির ভরসা এখন কংগ্রেস       
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ১০:২১:৫৯ পিএম
  • / ১৭০ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

স্বাধীনতার পরে দেশে তিন ধরনের রাজনীতি ছিল, প্রথমটা ছিল কংগ্রেস, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল, যারা জেলে গিয়েছিল, তাদের মাথায় ছিল দুটো পরস্পর বিরোধী ধারণা— গান্ধীজির গ্রাম সুরাজ, আর জওহরলাল নেহরুর সোশ্যালিস্টিক প্যাটার্ন অফ সোসাইটি, সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা। কংগ্রেসের এক জাতীয়তাবাদী অবস্থান তো ছিলই। কংগ্রেসের মধ্যে এক অংশ গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীও ছিল, যাঁরা নেহরুর সামনে খাপ খুলতে পারেননি। তালিকাতে বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ থেকে বল্লভভাই প্যাটেল, চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী বা অপেক্ষাকৃত তরুণ মোরারজি দেশাই ইতাদি নেতারা। তারপরে ইন্দিরা গান্ধী এসে সে প্রশ্নের মীমাংসা করে দিলেন, সেই বয়স্ক এবং হিন্দুত্ববাদী নেতারা দলের বাইরে, ইন্দিরা বাম, সমাজতন্ত্রের কথা বলতে থাকলেন, কয়লাখনি, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ ইত্যাদি ছিল তাঁরই কর্মসূচি। এরপরের শক্তি ছিল বামেরা, এদের মধ্যে অনেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন ইত্যাদিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা মূলত মার্কসবাদ, সমাজতান্ত্রিক আদর্শ থেকে সংগঠন তৈরি করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে মূলত সিপিআই, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক ইত্যাদি বাম শক্তি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই ছড়িয়েছিল। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরল, পঞ্জাব, বিহার, মণিপুর, বাংলা এমনকী উত্তরপ্রদেশেও বামেদের শক্তি ছিল। তৃতীয় শক্তি ছিল প্রথমে হিন্দু মহাসভা, পরে জনসঙ্ঘ, কট্টর হিন্দুত্ববাদী, জঙ্গি জাতীয়তাবাদী, প্রবল কংগ্রেস বিরোধী আদর্শ নিয়ে এঁরা মূলত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, বাংলা, আর কিছুটা হলেও উত্তরপ্রদেশে সংগঠন তৈরি করেছিল। কিন্তু তাকিয়ে দেখুন এই তিন অংশের দিকে, এঁদের নির্দিষ্ট আদর্শ ছিল, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ছিল। তখন এই তিন দলকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জনসঙ্ঘ দক্ষিণপন্থী, কংগ্রেস মধ্যপন্থী আর সিপিআই, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লককে বামপন্থী হিসেবেই চিহ্নিত করত। যদিও বামেরা চিরটা কাল কংগ্রেস এবং জনসঙ্ঘ দুই দলকেই দক্ষিণপন্থী দল বলেই চিহ্নিত করত। সিপিআই ভেঙে সিপিএম হল, সঙ্গে সঙ্গে সিপিআইকে সিপিএম দক্ষিণপন্থী বলেই চিহ্নিত করেছিল। 

এসব চলেছে বহুকাল। যদি রিপ ভ্যান উইঙ্কলের মতো কেউ সেই ৭৫-৭৬ এ ঘুমিয়ে পড়ার পরে আজ ঘুম থেকে ওঠে তাহলে তার সব গুলিয়ে যাবে, সব। এখন যে কেউ যে কোনও রাজনীতি করতে পারে, যে কেউ যে কারও হাত ধরতে পারে, এবং সেই দলবদলের পরে, সেই হাত ধরার পরে যে কেউ যা ইচ্ছে খুশি বাগাড়ম্বর দিয়ে নিজে আদর্শে অবিচল আছে, তা বুঝিয়ে দিতে পারে বা বোঝানোর জন্য ঘণ্টাখানেক বক্তৃতা দিতেই পারে। পরস্পর বিরোধী সেসব কথাবার্তা নিয়ে আপাতত মানুষও তেমন মাথা ঘামায় না। মানে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে খোয়া গেছে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা মতবাদ। এক মজার জোক শুনেছি এক প্রবীণ সাংবাদিকের কাছে, ওনাদের পাড়ায় কংগ্রেসের এক নিষ্ঠাবান কর্মী, এক্কেবারে ঝান্ডা নিয়ে মিছিলে থাকা কর্মী ছিলেন, তিনি কথা ভালো করে বলতে পারতেন না, ট-কে ত বলতেন। তো সেই বিশুদা ১৯৭৭-এ জনতা দলের ঝান্ডা নিয়ে মিছিলে গেলেন, সবাই অবাক, পাড়ার মোড়ে একজন জিজ্ঞেস করেছিল, এই যে বিশুদা, কংগ্রেস ছেড়ে পাল্টি? বিশুদা বলেছিলেন, রাইতিত থেকে রাইতিত হয়েছি, লেফতিত তো হইনি। মানে উনি জানতেন রাইটিস্ট থেকে রাইটিস্ট হওয়া যায়, লেফটিস্ট হওয়া যায় না, মানে সেই প্রান্তিক রাজনৈতিক কর্মীরও এই জ্ঞানটুকু ছিল যে রাইট আর লেফট-এর মধ্যে বিস্তর তফাত আছে। আজ? আমাদের পঞ্চায়েত ভোটের আগেই, বিজেপি থেকে তৃণমূলে, তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে, তৃণমূল থেকে সিপিএম-এ, সব হয়েছে, সব সম্ভব, কারণ রাজনীতি থেকে ওই আদর্শ নামক তিন অক্ষরের কথাটি গেছে মায়ের ভোগে। আপাতত সবটাই নির্বাচন, তার জন্য ঘুঁটি সাজাও, সে ঘুঁটির নাম কী? রং কী? এসব নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। 
স্বাধীনতার পরে ঘোষিত অরাজনৈতিক বা সেই অর্থে কোনও রাজনৈতিক আদর্শহীন দল হল আম আদমি পার্টি, আপ। তাঁরা বলেই দিয়েছেন ওসব বাম ডান ইত্যাদিতে আমরা নেই, দেশের জন্য যা যা দরকার তাই করব। তবু ভালো এই কথার মধ্যে কোনও ভড়ং নেই, অনায়াসে হনুমান মন্দিরে যাব, অনায়াসে মমতার হাত ধরব, অনায়াসে ইয়েচুরিজির কাছে গিয়ে ঘণ্টাচারেক বৈঠক করে সমর্থন নিয়ে ফিরব, অনায়াসে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়াকে সমর্থন করব। গুড গভর্নেন্স হল একমাত্র বিচারযোগ্য বিষয়। আচ্ছা তাই যদি হয়, তাহলে তাঁরা বিজেপি বিরোধী জোটে এসে বসছেন কেন? পাটনাতে গেছেন, বেঙ্গালুরুতেও যাচ্ছেন, যাচ্ছেন না এমন তো নয়। মানে সেখানেও চোখ ওই নির্বাচনের দিকে, একা থাকলে বাঘে খাওয়ার ভয় তাদেরও আছে, তাই তাদেরও শিবির বাছতে হয়। ওদিকে খাতায় কলমে এখনও, হ্যাঁ এখনও যে বামদল, সিপিএম কংগ্রেসকে দক্ষিণপন্থীই মনে করে, যারা এখনও মনেই করে যে কংগ্রেস দল হল দেশের অবশিষ্ট সামন্ত আর একচেটিয়া পুঁজিবাদীদের দল, তারা অনায়াসে কংগ্রেসের হাত ধরে, আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চল সখা আমি যে পথ চিনি না গাইতে গাইতে চলেছেন। এ রাজ্যেই দেখুন না, যদি, যদি বামেদের অবস্থার কিছু উন্নতি হয়, তাহলে তা কোথায়? মুর্শিদাবাদে আর মালদায়। কেন? সেখানে কংগ্রেসের কিছুটা হলেও শক্তি আছে বলে। অথচ ওনাদের ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা হল অবশিষ্ট সামন্ততন্ত্র আর একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব গড়ে তোলা। আদর্শ? আপনি বাঁচলে বাপের নাম। কমসে কম রাজ্য সম্পাদকের, কমরেড সেলিমের একটা আসন নিশ্চিত হোক, তারপর আদর্শ ইত্যাদি ছেঁদো কথা নিয়ে ভাবা শুরু করবে সিপিএম। 
তৃণমূল সমেত বিভিন্ন রিজিওনাল দলগুলোকে দেখুন, এক আরজেডি বাদ দিলে প্রত্যেকে, প্রত্যেকে বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছে, সেই ঘরে থেকে তাদের রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিও হয়েছে, এখন তাঁদের অনেকেই চরম বিজেপি বিরোধী, কেন? আদর্শের খাতিরে? কইবেন না কত্তা, ঘোড়ায় হাসবো। এবং বিজেপি। এনাদেরই ছিল কঠোর নিষ্ঠা, হিন্দুরাষ্ট্রের অবিচল লক্ষ্য, এনাদের বহু নেতা, মানে এনাদের মূল সংগঠন আরএসএস-এর বহু মানুষজন একটা কথা না বলে বছরের পর বছর আদিবাসী বনবাসী সমিতির কাজ করেছেন, কৃষকদের মধ্যে কাজ করেছেন, শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন, জীবনে ক্ষমতার স্বাদ নেননি। আজ সেই দল কেবল টিঁকে থাকার জন্য ট্যালেন্ট হান্ট-এ বেরিয়েছে। বিজেপির নেতারা এই মুহূর্তে খুব ভালো করেই জানেন যে ২০২৪ হাতের বাইরে। তাকে ফেরাতে হলে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হবে, এবং সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে তাঁরা তাঁদের এতাবত বাঁচিয়ে রাখা তাঁদের সাধের আদর্শের কাঁথায় আগুন লাগাতে হলে তাও লাগাবেন, এটাই আপাতত তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান। এসব আদর্শহীনতার প্রশ্নে একটা যুক্তি মাঝেমধ্যেই উঠে আসে, তা হল এটা কৌশল, আপাতত একটা কৌশল, পরে আবার ঠিক পথে ফিরে যাব দেখে নেবেন। হয়নি, ফেরা হয়নি কারও। একবার কক্ষচ্যুত গ্রহ ব্ল্যাক হোলেই চলে যায়, কেটে যাওয়া ঘুড়ি আর ওড়ে না, তা পড়তে থাকে, ভাসে কিছুক্ষণ, তারপর তা মাটিতেই নামে। আদর্শ হল সেই জ্বালানি যা থেকে বিচ্যুত হলে গাড়ির চাকার গতি কমে, তারপর তা স্তব্ধ হয়। ইতিহাসে খুব কমই এমন উদাহরণ আছে যেখানে আদর্শকে বাদ দিয়ে আপাত কৌশল খুব একটা কার্যকর হয়েছে। আপাত কৌশলের রাস্তায় রাশিয়া থেকে চীনের আজকের অবস্থান দেখলেই তা পরিষ্কার হয়। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মহারাষ্ট্রে যে খেলা চলছে, তার পিছনের রাজনীতির ছকটা কেমন?       

ঠিক সেরকম আজকের ভারতবর্ষে দুটো দু-মুখো লড়াই চলছে, প্রথমটা হল বিজেপি পরাজয় রুখতে আদর্শকে বিসর্জন দিতে শুরু করেছে, এবং তার ফলে যে সমস্যা আসছে, তা তাকে আরও বিপন্ন করবে, অন্যদিকে কংগ্রেস কোথাও একটু হলেও তার পুরনো অবস্থানে ফেরা শুরু করেছে, দেখতে হবে সেই যাত্রা কতটা দ্রুত, কতটা সঠিক পথে থাকে। আসন্ন চার রাজ্যে নির্বাচন এবং আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা বৈঠকে বসছেন হায়দরাবাদে। নিশ্চিত জানবেন, এই বৈঠক আসলে হবে, চলবে, সিদ্ধান্ত নেবে অমিত শাহের নির্দেশে, মোদিজির নির্দেশে। তার আগেই দলের সংগঠনকে খানিক ঠিকঠাক করা হল, হায়দরাবাদের বৈঠকের পরেই মন্ত্রিসভার কিছু পরিবর্তন সমেত নতুন আদর্শহীনতার গল্প সামনে আসবে। আপাতত বিজেপির কাজের ওপর একটু চোখ রাখা যাক। মহারাষ্ট্রে এনসিপির সঙ্গে জোট, সেই অংশের সঙ্গে যাদেরকে ক’দিন আগে ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তৃতায় কোনও রাখঢাক না করেই চোর বলেছেন, বলেছেন, এই নেতারা জেলে যাওয়ার ভয়ে এক জায়গায় আসছেন, সেই অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন ভুজবল এখন তাঁদের বন্ধুশক্তি। কেন? মহারাষ্ট্রে অন্তত ৪০টা আসন পেতেই হবে। এরপর বিহারে, আবার সেই একই দুর্নীতির অভিযোগ আছে এমন জিতন রাম মানঝি থেকে উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপির দিকে গেছেন, মুকেশ সাহনি বা জেডিইউর কিছু নেতাকে ভাঙানোর চেষ্টা চলছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ইডির মামলা আছে। কেন এই চেষ্টা? যাতে বিজেপি অন্তত গোটা ২০ আসন পায়। এবং বিজেপির এই ট্যালেন্ট হান্ট-এর নজরে আছে মূলত কংগ্রেসের সেই সব অখুশি নেতারা যাঁরা নিজেরাই আরও বড় পদ পেতে চান, সেই সব রিজিওনাল পার্টির নেতারা যাঁদের সঙ্গে পেলে কিছু আসন বাড়ে। 

ধরুন তেলঙ্গানা, সেখানে বান্দী সঞ্জয় কুমার ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মাথায়। তিনি হলেন খানিক দিলীপ ঘোষের মতো চেহারা, উৎপটাং কথা বলেন, কাগজের হেডলাইনে আসেন, দলীয় কর্মীদের মধ্যে পপুলার, কিন্তু বাকি নেতাদের সঙ্গে মিলমিশ নেই। তো ওনার বদলে এলেন ইটালা রাজেন্দ্র, প্রথমে কংগ্রেস, তারপরে টিআরএস মানে এখনকার বিআরএস-এর বড় নেতা, মন্ত্রীও ছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মন্ত্রিসভায়, তাঁকে বসানো হল, বান্দী সঞ্জয় কুমারের জায়গা কোথায়? হয়তো আপাতত দিল্লি সরকারে নিয়ে যাওয়া হবে, রাজ্যে রাখা হবে না। এবং আনা হল একসময় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডিকে, সেই অর্থে তিনিই আপাতত তেলঙ্গানায় বিজেপির বড় নেতা। চলুন অন্ধ্রপ্রদেশে, সেখানে বিজেপি কাকে রাজ্য সভাপতি করল? ডাগগুবতি পুরন্দেশ্বরীকে। ইনি হলেন এন টি রামা রাওয়ের কন্যা, যিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁর বাবার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু রেড্ডি, তারপরে ডি পুরন্দেশ্বরী কংগ্রেসে যোগ দেন, মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি গেলেন বিজেপির মাথায়। চন্দ্রবাবু নাইডু হাত মেলাতে চাইছিলেন বিজেপির সঙ্গে, কিন্তু বিজেপির মনে হয়েছে এই ডি পুরন্দেশ্বরীকে সামনে রেখে বরং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন রেড্ডির সঙ্গে হাত মেলালে কাজের কাজ হবে। এখানেও আদর্শ? হায়দরাবাদী বিরিয়ানি খেয়ে শুয়ে পড়েছে। কিন্তু সমস্যা আছে, রাজ্যে দুটো বড় শক্তি জগন রেড্ডি আর চন্দ্রবাবু নাইডু, এর যেটাকেই বিজেপি বাছবে অন্য অংশ সঙ্গে সঙ্গে সেকুলার হয়ে উঠবে, বিজেপি হটাও আন্দোলনে যোগ দেবে। এরপরের পরিবর্তন ঝাড়খণ্ডে। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের মাথায় বসানো হল বাবুলাল মারান্ডিকে। দু’ দু’বার আদিবাসী নয় এমন নেতৃত্বের মাথায় হাত রেখেছিল বিজেপি, কারণ? ওই যে আদর্শ। আদিবাসী থাকুক, মাথায় একজন হিন্দু। সেই রঘুবর দাস বা দীপক প্রকাশ ইত্যাদি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট ফেল এবার দলত্যাগী, জেভিএম নেতা বাবুলাল মারান্ডিকেই মাথায় বসাল বিজেপি। কারণ ২-৩টে আসন যদি ঝাড়খন্ড থেকে পাওয়া যায়। পঞ্জাবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ ছিল কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, এবারে দলের মাথাতে বসলেন সুনীল ঝাখর, যিনি ক’দিন আগেই পঞ্জাব কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি ছিলেন, যিনি বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা বলরাম ঝাখরের পুত্র। কেন? কারণ একটাই, পঞ্জাবে যদি এক আধটা আসন পাওয়া যায়। বিজেপির মধ্যে এই বাইরে থেকে, অন্য দল থেকে নেতা আমদানি করার চেষ্টা ২০১৪-র আগে তেমন ছিল না, আপাতত সেটাই বিজেপির একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলায় শুভেন্দু, মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য, অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মণিপুরে এন বীরেন্দ্র সিং, মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার, একনাথ শিন্ডে, কর্নাটকে এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রতে ডি পুরন্দেশ্বরী, তেলঙ্গানাতে কিরণ কুমার রেড্ডি, বিহারে কুশওয়াহা, মানঝি, সাইনি, এমনকী গুজরাতে হার্দিক প্যাটেলরাই এখন বিজেপির ভরসা, ২০২৪-এ গদি বাঁচাতে শয়তানের সঙ্গেও কোলাকুলি করতে মরিয়া ভারতীয় জনতা পার্টি।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team