কলকাতা: ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুই। বুধবার রাতভর ওই ২ জনকে জেরা করা হয়। আজ সকালে গ্রেফতার করা হয় তাদের। টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে সমস্যার জেরেই খুন, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। তবে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধৃতদের তথ্য পেয়েছিল পুলিস। এর পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয়েছে। খুনের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিস। এখনও অধরা খুনের মাস্টারমাইন্ড।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতেরা মৃত দম্পতির পূর্বপরিচিত। বুধবার রাতভর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ভবানীপুরের খুনের ঘটনার ৯৯ শতাংশ তদন্ত সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে ভবানীপুরের গুজরাটি ব্যবসায়ী অশোক শাহের স্ত্রীকে মাথার পিছনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। গুলি করা হয় সেভেন এমএম পিস্তল দিয়ে। সেই গুলি কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। অশোক শাহর পেটে ও গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করা হয়। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান, এর পিছনে রয়েছে সুপারি কিলারদের হাত। কারণ, সোমবার ভরদুপুরে ভবানীপুরের মতো জায়গায় এইভাবে গুলি করা, ভাড়াটে খুনি ছাড়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Bhawanipore Murder: ভবানীপুরে দম্পতি খুনে পারিবারিক যোগ রয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানাল লালবাজার
যে প্রশ্নের উত্তর এখনও তদন্তকারীরা খুঁজছেন সেটা হল, খুনের মোটিভ কী? সোমবার সন্ধ্যায় খুনের পর বাড়িতে ঢুকে তদন্তকারীরা দেখেন গোটা ঘর লন্ডভন্ড৷ কিন্তু ঘর থেকে মূল্যবান তেমন কিছুই খোয়া যায়নি৷ শুধু মৃত অশোক শাহ এবং রশ্মিতা শাহের আংটি, কিছু সোনার গয়না এবং তাদের মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ অর্থাৎ লুটপাটের উদ্দেশ্যেই খুন সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিল আততায়ী৷ কিন্তু লুটপাটই যদি উদ্দেশ্য ছিল তাহলে খুন করা কেন হল?