কাতার: বিশ্বকাপ (World Cup) ফুটবল মানেই দর্শক সমর্থকদের বাঁধভাঙা উছ্বাস। আর এই উচ্ছ্বাসের নেপথ্য ফুটবল ছাড়াও রয়েছে মদ্যপান, বিশেষ করে বিয়ার (Beer)। ইউরোপের (Europe) সমস্ত নামী লিগে স্টেডিয়ামে বসেই বিয়ার পান করেন দর্শকরা। এ যাবত যত বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে সেখানেও দেখা গেছে একই চিত্র। কিন্তু এই বিশ্বকাপে দেখা যাবে না।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক দু’ দিন আগেই ফিফা (FIFA) এবং আয়োজক দেশ কাতার (Qatar) ঘোষণা করল স্টেডিয়াম চত্বরে বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ। ফিফা জানিয়েছে, কাতারের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত। কাতার একটি ইসলামিক রাষ্ট্র, সেখানে অ্যালকোহল (Alcohol) সেবন কড়াভাবে নিষিদ্ধ। তাই এই সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
তবে আশ্চর্যের এই যে এতদিন এ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর দু’দিন আগে আচমকা এই সিদ্ধান্ত। মনে করা হচ্ছে কাতারের শাসক পরিবারের হস্তক্ষেপেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ফিফা। এতে অবশ্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আরও পড়ুন: Paris Olympics: প্যারিস অলিম্পিক্সের ম্যাসকট ফ্রান্সে নয়, তৈরি হবে চীনে! জমছে অসন্তোষ
কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর এবি ইনবেভ (AB InBev) নামের এক বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। তবে বিয়ার যে একেবারেই নিষিদ্ধ তা নয়। ফিফা জানিয়েছে, স্টেডিয়ামের বাইরে ফ্যান জোনে বিয়ার পাওয়া যাবে। কিন্তু মাঠে তা নিয়ে ঢোকা যাবে না।
এমনিতেই মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিশ্বের সমালোচনার মুখে কাতার। এরপর স্টেডিয়ামে বিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়ায় বিতর্ক আরও বেড়েছে। ইংল্যান্ডের ফুটবল সমর্থকদের অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আসল সমস্যা হল শেষ মুহূর্তে পালটি খাওয়া যা আসলে অনেক বড় সমস্যার কথা বুঝিয়ে দেয়। সেটা হল সমর্থকদের সঙ্গে আয়োজক কমিটির যোগাযোগ এবং স্বচ্ছতার অভাব। তারা যদি তারা এমন শেষ মুহূর্তে মন পরিবর্তন করে তবে থাকার জায়গা, পরিবহন এবং সাংস্কৃতিক ইস্যু নিয়ে সমর্থকরা চিন্তিত থাকবেই।