চণ্ডীগড়: খলিস্তান কমান্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জোয়ারকে (Paramjit Singh Panjwar) (৬৩) গুলি করে খুন করেছে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরে (Lahore) পাঞ্জোয়ার প্রাতঃভ্রমণ করার সময় এই ঘটনা ঘটে। তার দেহরক্ষী এই ঘটনায় জখম হয়েছে। কিন্তু কে এই পাঞ্জোয়ার? পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) মদতপুষ্ট পরমজিৎ সিং পাঞ্জোয়ার আটের দশক থেকে নয়ের দশকের মাঝামাঝি অশান্ত পঞ্জাবে (Punjab) একাধিক খুনের নায়ক। একসময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গির খুন নিয়ে রবিবার পাকিস্তানের সবকটি কাগজে ফলাও করে খবর ছাপাও হয়েছে।
জানেন পাঞ্জোয়ারের অপরাধের কীর্তিকলাপ কী কী?
১৯৮৮ সাল। চণ্ডীগড়ে ভাকরা-বিপাশা ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বিএন কুমারকে খুন করে কেসিএফ। ১৯৮৯ সাল। পাটিয়ালায় থাপার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ১৯ জন ছাত্রকে গণহত্যা। ওই বছরেই বাটালার এসএসপি গোবিন্দ রামের ছেলেকে অপহরণ করে খুন। এরকম আরও খুন, অপহরণ, তোলাবাজির অপরাধ ঝুলে ছিল তার বিরুদ্ধে। খলিস্তানপন্থী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে যে পঞ্জাব পুলিশ কর্তারা সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের খুন করে এই জঙ্গির নেতৃত্বাধীন সংগঠন কেসিএফ।
আরও পড়ুন: Manipur Violence | মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি শশী থারুরের, বিজেপি রাজ্যের মানুষকে ঠকিয়েছে
মেজর জেনারেল কুমারকে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাটিয়ালার থাপার কলেজে একটি যুব উৎসবে বিভিন্ন কলেজ থেকে পড়ুয়ারা যোগ দিতে এসেছিলেন। তাঁরা একটি ডরমিটরিতে ঘুমোচ্ছিলেন। তখন তাঁদের ঘুমন্ত অবস্থাতেই হত্যা করা হয়। এছাড়াও লুধিয়ানায় ডিএসপি রাজকিষেণ বেদিকে হত্যা এবং আরও এক এসপি-র ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল পাঞ্জোয়ারের নির্দেশে। ওই সময়েই ফিরোজপুরে ১০ জন রাই শিখকে মারা হয়েছিল। সেটাও ছিল কেসিএফের কাজ।
এদিকে, পাঞ্জোয়ারের মৃত্যুর খবর দেশে ছড়িয়ে পড়তেই তরনতারণে তার গ্রাম গুরবক্সপুরিতে দেহ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তার বড় ভাই সর্বজিৎ সিং সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে ভাইয়ের মরদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি জানান, পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ও আমাদের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ রাখেনি। পাঞ্জোয়ারের অপর দুই দাদার একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী ও অন্যজন প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী।