কলকাতা: ফের রুজিজার বিদেশ যাত্রায় বাধা। সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ায় রওনা হয়েছিলেন রুজিরা (Rujira Banerjee) সঙ্গে ছিলেন সন্তানরাও। সেই সময়ই আটকানো হয় তাঁকে।সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও রুজিজার বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়ায়, আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না রুজিরার। তার পরেও কেন আটকানো হল রুজিরাকে এই কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ বা অর্ডার থাকতেই তাঁকে আটকানো হয়েছে বলেই সূত্র মারফত খবর।পরে যদিও বিমান বন্দর সূত্রে জানা যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৪ জন ছিলেন। পাসপোর্ট ছাড়পত্র ছিল না। তাই অভিবাসন দফতর আটকে দেয়। এরপর ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান রুজিরা। জানা যাচ্ছে, NSCBI থানায় অভিযোগ জানাবেন। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের আইনজীবী অভিযোগ জানাবেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে আদালত অবমাননা অভিযোগ এনে কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এদিকে ৮ জুন সকাল দশটার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে রুজিরাকে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডির অফিসাররা।
এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় তোপ দাগেন যে এই সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তিনি বলেন, আমরা আগেও দেখেছি রুজিরাকে এবং তাঁর পরিবারকে কিভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আজকে ফের সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে লঙ্ঘন করে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাফ উড়িয়ে দেন তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব। তিনি বলেন, যদি তাঁদের বিদেশে যাওয়ার আইনগত বৈধতা থাকে, তবে তিনি যাবেন, তাঁকে তো পৃথিবীর কেউ আটকাতে পারবে না।তবে বিমানববন্দরের কোন অফিয়ার কেন আটকেছে তা জানি না। কারণ যাই হোক প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপির রাজনীতি নয়।