লোকসভা ভোটের ঠিক মুখেই, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মকর সংক্রান্তির পুণ্যদিনে রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে পুজোপাঠের মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্দির নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অছি পরিষদ এই তথ্য জানিয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে আনুমানিক খরচ পড়বে ১৮০০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।
রামমন্দিরের বিশেষত্ব কী?
১। ভূমিকম্প প্রতিরোধী করে গড়ে তোলা হয়েছে এই মন্দির।
২। এমন মজবুত করে গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে অন্তত ১০০০ বছর টেঁকসই হয় এই মন্দির।
৩। মন্দিরে থাকবে ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ১২টি দরজা।
৪। মূল মন্দিরের পরিধি হবে ৩৫০x২৫০ ফুট।
আরও পড়ুন: Chalo Grame Jai: উৎসব শেষ, মমতার নির্দেশে চলো গ্রামে যাই কর্মসূচি তৃণমূলের, লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট
৫। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী মন্দিরের চারধারে ৫ কিমি খোলা জায়গা রাখা যায় কিনা তার সমীক্ষা করা হয়েছে।
৬। গর্ভগৃহে থাকছে ১৬০টি স্তম্ভ। প্রথম তলে থাকবে ৮২টি স্তম্ভ।
৭। যে ১২টি দরজা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলি টিক কাঠের। এছাড়া সিংহদুয়ারটি হবে বিশালাকৃতির।
৮। ২.৭ একর জমির উপর নির্মীয়মাণ এই মন্দিরের জন্য রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে গ্রানাইট পাথর।
৯। প্রজেক্ট ম্যানেজার জগদীশ আফালে জানান, গর্ভগৃহটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে রামনবমীর দিন রামলালার বিগ্রহের উপর সূর্যকিরণ পড়ে।
কেন ২০২৪ সালে উদ্বোধন?
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক পকেটে পুরতে চায় বিজেপি। লোকসভা ভোটে অতি গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশের সাংসদ সংখ্যা। সে কারণে এবং দেশের তামাম হিন্দু ভোটকে কেন্দ্রীভূত করতে বিজেপির পরিকল্পনা হল, যে করেই হোক রামলালার মন্দির নির্মাণ ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে ফেলা।
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ করা সঙ্ঘ ও বিজেপির বহু পুরনো এজেন্ডা। আদবানির রথযাত্রা থেকে শুরু করে করসেবা এমনকী বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণেরও ডাক দিয়েছিল সঙ্ঘ নেতৃত্বাধীন সাধুসন্তদের আখড়া ও হিন্দুত্ববাদী মঠ-আশ্রমের মহন্তরা। বাবরি পরবর্তী রাজনীতি, সুপ্রিম কোর্টে বহু লড়াইয়ের শেষে রামমন্দির নির্মাণের রায় হয়। তারপর থেকেই প্রবল উদ্দীপনায় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। সেই নির্মাণকাজেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত অছি পরিষদের সাধুসন্ত-মহন্তদের বৈঠকে আনুমানিক ব্যয় ঠিক করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠিত হয়। যার নাম শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এই অছি পরিষদের সদস্যরা জানান, মন্দির নির্মাণে ১৮০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। শুধু রামলালা, সীতা, লক্ষ্ণণ ও হনুমানের মূর্তি নয়, মন্দিরে ভিতরে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি বসানো হবে।