কলকাতা: কোথাও প্রধানকে চেয়ার সমেত পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে তুলে নিয়ে এসে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন গ্রামবাসীরা। আবার কোথাও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ঘেরাও। এমনকি জাতীয় সড়ক (National Highway) অবরোধ (Road Block) থেকে পঞ্চায়েত দফতরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ। এমনই নানা আবাস বিক্ষোভের ঘটনায় বছরের শেষ বৃহস্পতিবারটিও উত্তপ্ত হয়ে থাকল রাজ্যের নানা অংশে।
যোগ্য হয়েও আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে চেয়ার সমেত বাইরে নিয়ে এসে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা বাঁকুড়ার ১নং ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃহঃস্পতিবার সকালের ওই ঘটনায় সব অভিযোগ শুনে প্রধান বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা এলাকার তিলডাঙ্গায় স্থানীয় বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাদের মাথায় ছাদ নেই তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।
আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, মূলত যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে এবং পঞ্চায়েতে সদস্যের কাছের লোক তাঁরাই আবাস যোজনার (Awaas Yojna) ঘর পেয়েছে। বিক্ষোভ দেখানো হল আইসিডিএস (ICDS) কর্মীর বাড়িতেও।বারুইপুরের ধপধপি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় থাকা কুমোরহাট মীরপাড়ায়।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকাতে প্রথম নাম থাকা সত্ত্বেও, আচমকা গায়েব বেশ কয়েকজনের নাম। প্রতিবাদে দুর্গাপুরে জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। বোঝাতে গেলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলে বেশ কিছুক্ষণ।
আর তালিকা থেকে নাম বাদ হয়ে যাওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর-১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধও চলে। পরে ঘটনাস্থলে এসে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গোলাম রসুল বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করার পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে এবার জাতীয় সড়ক অবরোধ জলপাইগুড়িতে। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। অনেকক্ষণ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।