কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কে আনারুল হোসেন? বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য৷ ৮ জন সাধারণ মানুষের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল আনারুল হোসেনের৷ মৃতদের আত্মীয়রা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন৷ সেই নির্দেশের ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৫২ আনারুল হোসেন বীরভূমের রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুর এলাকার বাসিন্দা৷ বর্তমানে রামপুরহাট ১ ব্লকের সভাপতি৷ রাজনীতিতে আসার আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন৷ সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস করতেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠাবসা। সাধারণ তৃণমূল সদস্য থেকে ব্লক সভাপতি হওয়া।
বীরভূমের রাজনীতির ময়দানে দক্ষ সংগঠক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন আনারুল। রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধানসভার বর্তমান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পরে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছের লোক হয়ে ওঠেন। এই ভাবেই সাধারণ কর্মী থেকে দলে পদমর্যাদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপত্তিও বাড়তে আনারুলের।
সন্ধিপুরে দোতলা বাড়ি। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা৷ জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তন…কত কী! কিন্তু নিহত পরিবারগুলির দাবি, অগ্নিকাণ্ডের সময় তাঁরা আনারুলকে একাধিকবার ফোন করেন৷ কিন্ত তাঁদের বাঁচানোর আর্তিতে সাড়া দেননি আনারুল৷ রামপুরহাট থানাতেও ফোন করা হয়৷ কিন্তু সাহায্য মেলেনি৷ কে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন-Rampurhat Violence Calcutta HC: রামপুরহাট মামলার শুনানি শেষ, স্থগিত রায়দান
যদিও আগেই আনারুল দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে৷ তিনি নির্দোষ৷ অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন৷ ভাদু শেখ খুনের খবর পেয়েই হাসাপাতালে ছুটে যান তিনি৷