কলকাতা: হিন্দুধর্মে চার ধাম। বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম এবং পুরী। আর এই চার ধামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় পুরী (Puri) যাত্রাকে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple), হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। শুধু দেশেই নয় এই মন্দিরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। রথযাত্রার সময় এই স্থানে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী প্রভু জগন্নাথের দর্শন করতে আসেন। পুরীর আদলে সারা বিশ্বে রথযাত্রার আয়োজন করে ভক্তরা। সেখানে অংশ নেন বিদেশিরাও।
এই পুরী জগন্নাথ মন্দিরের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলিই একে অনন্য করে তোলে। এই মন্দির নিয়ে অনেক কিংবদন্তি রয়েছে। যুগ যুগ ধরে সেই কিংবদন্তিতে বিশ্বাস করে আসছেন ভক্তরা। এই মন্দিরের উপর দিয়ে কোনও বিমান চলাচল করতে পারে না। এমনকি এর উপর দিয়ে কোনও পাখিও উড়ে যায় না।
আরও পড়ুন: Kolkata to Bangkok | ফ্লাইটের ঝামেলা শেষ, এবার মহাসড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে ব্যাংকক
কেন এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে জানেন?
শ্রী হরি চারধাম যাত্রা করেছিলেন। পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল, বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ ধামে তিনি স্নান করেন। তারপর গুজরাটের দ্বারকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন। ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন। এবং সবশেষে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন।। ধরাধামে হিন্দুদের বৈকুণ্ঠ পুরী জগন্নাথ মন্দির ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এখানে প্রতিদিন আচার-অনুষ্ঠান মেনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ, সুভদ্রা এবং বলভদ্রের পূজা করা হয়।
পুরীর সঙ্গে যুক্ত প্রাচীন বিশ্বাস হিন্দু ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেহত্যাগের পর তাই নশ্বর শরীর দাহ করা হয়েছিল। তখন দেহের একটি অংশ বাদে তাঁর সমস্ত শরীর পঞ্চতত্ত্বে বিলীন হয়ে যায়। কথিত আছে যে, সেই সময় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছিল। এবং সেই হৃদপিণ্ড আজও ভগবান জগন্নাথের মূর্তির ভিতরে সুরক্ষিত রয়েছে।