কলকাতা: নতুন বছরের শুরুটা খুব একটা ভালো কাটেনি উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের (Joshimath) মানুষের। রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। প্রত্যেকের মনে একটাই আশঙ্কা, পাহাড়ঘেরা স্বপ্নের মতো সুন্দর এই শহর জোশীমঠ (Joshimath) হুড়মুড়িয়ে ভেঙে না পড়ে। ধসের বিপর্যয় কাটিয়ে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি জোশীমঠ Joshimath)। এবার হৃষীকেশ (Rishikesh), মুসৌরি (Mussorie), নৈনিতালের (Nainital) মতো উত্তরাখণ্ডের এই পাহাড়ি শহরগুলিও বিপর্যয়ের মুখে। ইতিমধ্যে ওই তিন শহরের কোথাও কোথাও ফাটল ধরতে শুরু করেছে। বেশ কিছু বাড়ি ও রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ফলে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন এই শহরগুলির বাসিন্দারাও। আর এই পরিস্থিতির জন্য জোশীমঠের সাধারণ মানুষদের মতো এই শহরগুলির মানুষও উন্নয়নকেই দায়ী করছেন।
জোশীমঠের বসিন্দাদের দাবি, ৫২০ মেগাওয়াটের তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের (Tapovan-Vishnugad hydropower project) নির্মীয়মাণ টানেলের জলাধার ফেটে যাওয়ার পরে সংকট বেড়েছে জোশীমঠের। পাশাপাশি পাহাড় খোদাই করে একের পর এক বহুতল, হোটেল ইত্যাদি তৈরির ফলেও মাটি আলগা হয়ে ধস নামছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। জানুয়ারির শুরু থেকেই জোশীমঠের বহু বাড়ি, হোটেল ও রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করে। প্রশাসন বহু বাড়িতে ‘বিপজ্জনক’ বলে নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। ভেঙে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়ি এবং হোটেলও। জোশীমঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কর্ণপ্রয়াগেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। সেই শহরের একদম কাছেই চলছে হৃষীকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন এবং সব আবহাওয়ায় চারধাম যাওয়া সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করা রাস্তার কাজ। চারধাম যাত্রায় সাধারণের কষ্ট লাঘব করতে সরকারের তরফে এই উন্নয়নের কাজে হাত লাগানো হলেও কর্ণপ্রয়াগের বাসিন্দাদের দাবি, এই উন্নয়নই কাল হয়েছে।
আরও পড়ুন:Weather: বদলে গেল শীতের চরিত্র, এবার কি তবে বিদায়ের পালা ?
রেললাইন তৈরির কাজ যে শুধু কর্ণপ্রয়াগের মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে তা নয়, তার প্রভাব পড়েছে হৃষীকেশেও। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা। হৃষীকেশের আটালি গ্রামে অন্তত ৮৫টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। একই পরিস্থিতি মুসৌরির ল্যান্ডৌর বাজার, নৈনিতালের লোয়ার মল রোড এবং রুদ্রপ্রয়াগের অগস্ত্যমুনি ব্লকের ঢালীমঠ বস্তি এবং গুপ্তকাশী শহরেরও। কোথাও মাটি বসে যাচ্ছে, তো কোথাও দোকান এবং ঘরবাড়িতে ফাটল ধরেছে।