কলকাতা: দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor C. V. Ananda Bose) সঙ্গে দেখার করার জন্য রাজভবনে (Raj Bhaban) পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ ১১ জন সদস্যের প্রতিনিধি দল। শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে কেন পুলিস দিয়ে তৃণমূল নেতাদের তুলে দেওয়া হল সেই বিষয়েই রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চান তাঁরা।
রাজভবনে বৈঠক শেষে বেরিয়ে কড়া ভাষায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন। ঝড়বিধ্বস্ত মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুমতি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাথাদের সরানোর দাবি জানাতে গিয়ে কেন তাঁর দলীয় সতীর্থদের হেনস্থা করা হল, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজপালকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি হাতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিষেক জানিয়েছেন, আগামীকাল আবার এই প্রতিনিধিদল রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করবে। রাজপালের সিদ্ধান্তের উপরই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৮)
উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, সাকেত গোখলেরা। কমিশনের কাছে নিজেদের অভিযোগ এবং দাবি জানিয়ে বাইরে এসে ধর্নায় বসেন তাঁরা । কমিশন থেকে ফিরে এসে তাঁরা বলেন, মূলত দুটি দাবি কমিশনে জানানো হয়েছে। একটি হল ভোটের ময়দানে সবাইকে সমান জায়গা দেওয়া হোক, বিজেপির জমিদারি বন্ধ হোক। আর দ্বিতীয়ত, চার কেন্দ্রীয় সংস্খার প্রধানকে এখনই বদল করা হোক। ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। কিছুক্ষণ পরেই সেই ধর্না তুলে দিতে আসরে নামে দিল্লি পুলিশ। কমিশনের দফতরের সামনে থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সরে যেতে বলে পুলিস। তারা রাজি না হলে পুলিস জোর করে ধর্না তোলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতাদের টেনেহিঁচড়ে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তোলে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের ১০ জনকে আটক করে এখন দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় রাখা হয়েছে।
আরও খবর দেখুন