বেঙ্গালুরু: বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠকের আগে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস। বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। এই বৈঠক ভারতের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটাতে চলেছে। সোমবার বৈঠক শুরুর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চায় বিজেপি। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ খারিজ ও সম্প্রতি মহারাষ্ট্র রাজনীতির কথা তুলে ধরেন তিনি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এবং কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও ওই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন।
বেণুগোপাল আরও বলেন, কাল বেঙ্গালুরুতে ২৬টি দল এক টেবিলে বসছে। আমরা সেখানে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব। এখান থেকেই দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সূচনা হবে। এই অবস্থায় বিজেপিও ভয় পেয়ে কালই বৈঠক ডেকেছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের মিলিত হওয়ার শক্তি কতটা। আমরা এখানে গণতন্ত্র রক্ষা, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং সরকারি সংস্থাগুলির স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। বিজেপির আমলে এগুলি বিপন্ন।
আরও পড়ুন: Uniform Civil Code | অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমর্থন করতেন সিপিএমের কিংবদন্তি নেতা ইএমএস
বিরোধী ঐক্য দেখে বিজেপির ভয় পাওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, যদি উনি অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের থেকে শক্তিশালী হন এবং তিনি একাই তাঁদের রুখে দিতে সক্ষম হবেন, তাহলে কেন ৩০টি ছোট দলকে নিয়ে ১৮ জুলাই এনডিএ-র বৈঠক ডাকবেন? কোন ৩০ দল থাকবে, তাদের নাম বলুন। তাদের সকলের নাম কি নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত আছে, প্রশ্ন তুলেছেন খাড়্গে। আমাদের দেখাদেখি বিজেপিও নিজের শক্তি দেখাতে আসরে নেমেছে।
এদিকে, বিরোধীদের এই সম্মিলনকে সুবিধাবাদী ও ক্ষমতার কাঙালদের বৈঠক বলে তাচ্ছিল্য করল বিজেপি। সুবিধাবাদী কিছু নেতার ক্ষমতায় আসার লিপ্সার কারণেই তাঁরা বেঙ্গালুরুতে মিলিত হচ্ছেন বলে এদিন সাংবাদিকদের সামনে বলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, বন্যার কারণে দিল্লিবাসীর দুর্দশা দেখেও উনি বৈঠক করতে দৌড়লেন। বন্যার জন্য দিল্লির মানুষ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তা দেখেও শহরের বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে টুঁ শব্দটি করল না কংগ্রেস। যেমন পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গে হিংসা দেখেও কংগ্রেস চুপ করে রয়েছে।