কৈরানা: বরযাত্রী তো এল, কিন্তু বর কোথায়? আঁতিপাতি করে খুঁজেও বরের দেখা মিলল না। তবে নিতবর একজন আছেন। মেয়ের বাড়ির লোক এই অবস্থায় ভাবছেন, কী করা যায়! তখন জানা গেল আসল সত্যটা। যাঁকে নিতবর ভাবা হচ্ছে, তিনিই আসল ‘দিলওয়ালে’। নিয়ে যেতে এসেছেন ‘দুলহানিয়া’কে। হ্যাঁ, এভাবেই সত্যি হল বামনের চাঁদ ধরা থুড়ি বিয়ে করার স্বপ্ন।
মিঞার নাম আজিম মনসুরি (Azeem Mansuri)। বিবির নাম বুশরা (Bushra)। বুধবার দুজনের চার হাত মিলল একই সুরে ‘কবুল’ ধ্বনিতে। আজিমের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৈরানার ( Kairana) শামলিতে। আর বুশরার বাপেরবাড়ি হাপুরে। দীর্ঘদিন ধরেই মনের মধ্যে বিয়ের স্বপ্নের জাল বুনছিলেন আজিম। কিন্ত, তাঁর সেই দিবাস্বপ্নে জল ছিটিয়ে দিচ্ছিল তাঁর উচ্চতা। কারণ, ৩২ বছরের যুবক আজিমের উচ্চতা হল আড়াই ফুট।
আরও পড়ুন: Weather Update: নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কি বঙ্গে আসবে শীত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা, জানুন
বাড়ির ৬ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম হলেন আজিম। একটি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান চালান। বিয়ে করার জন্য তিনি কী না করেছেন! স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা তো বটেই ব্লক-মহকুমা স্তরের সরকারি আধিকারিকদের কাছে গিয়েও দরবার করেছেন। এমনকী ২০১৯ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) কাছেও পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবদার নিয়ে পৌঁছে যান। বিয়ের পর আজিম বলেন, আল্লার কৃপায় আমার জীবনে এই মুহূর্তটা সত্যি হল। এটা এক আনন্দের উৎসব। তাই গোটা গ্রামকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন আজিম। আমাকে যারা সাহায্য করেছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই আমি।
আজিম মনসুরির বিয়ের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ডাকতে হয়েছে। সকলেই এসে বরের সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইছেন। অন্যদিকে, কনের বাড়িতেও বেশ কয়েকদিন ধরে ধুমধাম করে বিয়ের সাজসজ্জা হয়েছে। কারণ কয়েক বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মেয়ের অনুরূপ বর খুঁজে পেয়ে আহ্লাদিত বাবাও। গতবছর মার্চ মাসে দুজনের দেখা হয়। বুশরার উচ্চতা ৩ ফুট। সেখানেই বিয়ের ফুল ফুটতে শুরু করে। কিন্তু তখন স্নাতক স্তরে পড়ছেন বুশরা। তাই বিয়ের জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয় মিঞাসাহেবকে। পঞ্চম শ্রেণি-ছুট আজিমও চেয়েছিলেন বিএ পাশ মেয়েকেই বিয়ে করবেন।