রায়গড় (মহারাষ্ট্র): মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় অতিবৃষ্টির জেরে ভূমিধসে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এখনও কমপক্ষে শখানেক মানুষ কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে আছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বৃষ্টির মধ্যেই উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বলেন, রায়গড়ের ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৫।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ধসে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। উদ্ধার ও ত্রাণকার্য তদারকিতে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য। তা পরিচালনা করছেন আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। বুধবার রাতে মুম্বই থেকে ৮০ কিমি দূরে খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াড়ি গ্রামে ধস নামে। এলাকাটি জঙ্গলের ঘেরা। ২০১৪ সালের পর রাজ্যে এটাই সবথেকে বড় ধস। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় কোনও পাকা রাস্তা নেই। তাই উদ্ধারকার্যের জন্য ট্রেকারদের সাহায্য চেয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: Parliament-Manipur | লজ্জায় জাতির মাথা হেঁট, মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেন মোদি
ধসের খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে খোঁজখবর নেন। এনডিআরএফের ৪টি দল সেখানে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে। তিনি বলেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা এবং জখমদের দ্রুত চিকিৎসা করাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরের বিধায়ক-পুত্র আদিত্য ঠাকরে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন উদ্ধব গোষ্ঠীর আরও দুই বিধায়ক। উদ্ধারের জন্য মুম্বইয়ে দুটি হেলিকপ্টার তৈরি থাকলেও আবহাওয়ার প্রতিকূলতার দরুন সেগুলি উড়তে পারছে না।
উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানান, উদ্ধারকাজ চলাকালীন এক দমকল অফিসার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। পাহাড়ি ও জঙ্গল ঘেরা এলাকার জন্য চাপা পড়া মানুষকে বের করে আনা দুরূহ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাওয়ার আরও বলেন, জেসিবি মেশিন হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।