নয়াদিল্লি: এক নেপালি নাগরিককে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ ৪১ বছর জেলে কাটানোর জন্য ওই নেপালি নাগরিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে৷ বুধবার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘লাইভ ল’-তে এমনই খবর প্রকাশিত হয়৷ সেই খবরে আরও বলা হয়েছে, আদালতের হস্তক্ষেপে চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছেন ওই নেপালি ব্যক্তি৷
১৯৮০ সালে দার্জিলিংয়ে এক ব্যক্তি খুনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় দীপক যোশী নামে ওই নেপালিকে গ্রেফতার করা হয়৷ তিনি কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্নের মুখে পড়েন৷ তারপরই দীপককে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়৷ আন্ডারট্রায়াল বন্দি হিসাবে রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ কারণ, তিনি বিচারের জন্য অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল এবং তাঁর মানসিক অবস্থার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি এবং হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নজরে আসা খবরের আগে পর্যন্ত তিনি ওই সংশোধনাগারেই বন্দি ছিলেন৷
এরপরই আদালত এক আইনজীবীকে দীপক যোশীর মুক্তির জন্য পিটিশন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়৷ সেই মামলার শুনানির আগে বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও অনিরুদ্ধ রায় ফৌজদারি মামলার ধারা ৪২৮, ২২৬ ও ২২৭ সংশোধনের আবেদন জানান৷ ১৭ মার্চ ছাড়া পান দীপক যোশী৷ এরপর তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷তার আগে গত ২২ মার্চ রাজ্য সরকারকে আদালত নির্দেশ দেয় যে, দীপক যোশীকে রাজ্য সরকার পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে৷
আরও পড়ুন-হেলমেট দিয়ে স্বামীর প্রেমিকাকে বেদম মার স্ত্রীর, ভাইরাল ভিডিয়ো
৭ ডিসেম্বরের শুনানিতে আদালত কৌঁসুলি পশ্চিমবঙ্গ সংশোধন পরিষেবা বন্দি (অস্বাভাবিক মৃত্যু ক্ষতিপূরণ) স্কিম, ২০১৯ উত্থাপন করেন এবং এই স্কিমের অধীনে সর্বোচ্চ প্রদেয় ক্ষতিপূরণ ছিল ৫ লাখ টাকা দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করেন৷ সূত্রের দাবিস দীপক যোশী দেশের ফেরার ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে৷