কলকাতা: বিধানসভা চত্বরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতে নাটকীয় মোড়। বিজেপি পরিষদীয় দলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB Assembly Speaker Biman Bandopadhyay)। নজিরবিহীন এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। সূত্র্রের খবর, বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হতে পারে।
মঙ্গলবার শুভেন্দুকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেতার দাবি, এই অধিবেশনে বেশ কিছু আপত্তিকর বিল পাশ করানো হবে। আমি থাকলে বাধা দিতাম। তাই আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সাসপেন্ড করা হলেও বুধবার বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু। সেই সময় বিধানসভা চত্বরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের অবস্থান চলছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। অদূরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী চোর বলে স্লোগান দেন। পাল্টা অবস্থানরত তৃণমূল বিধায়করাও শুভেন্দু চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ২৩ মিনিটের শাহি ভাষণে কি হতাশ বঙ্গ বিজেপি ?
পরে স্পিকারের নির্দেশে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয়। স্পিকারের ঘরে আসেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার আগে তৃণমূল বিধায়করা স্পিকারের কাছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। স্পিকার বৈঠক করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যা, উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। স্পিকারের মতে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, বিধানসভায় পুলিশ ডেকে অন্যায় করেছেন। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, স্পিকার দলবদলুদের বিচার করতে পারেন না। অথচ বিরোধী কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করতে ওস্তাদ। এই স্পিকারকে দেখে দেখলে ধন্যি মেয়ে সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রবি ঘোষের কথা মনে পড়ে।
আরও অন্য খবর দেখুন