কলকাতা: প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় লোকসভার ভোট হবে বাংলায়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সাংবাদিক বৈঠকের আধঘণ্টা পরেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কমিশনের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল। দলের প্রবীণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বারবার এক বা দুই দফায় ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে ভোট করা হচ্ছে সাত দফায়। কোন যুক্তিতে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল, জানি না। অনেক বড় রাজ্যে এক কিংবা দুই দফায় ভোট করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বাংলায় সাত দফার ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তৃণমূল তাদের পেশীশক্তির জোরে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করে। সম্ভবত সেই কারণেই কমিশন সাত দফায় ভোট করার কথা বলেছে। বাংলা ছাড়া বিহার এবং উত্তরপ্রদেশেও সাত দফায় ভোট হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও সাত দফার ভোটকে স্বাগত জানান। মোদি বলেন, আমরা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ভোটে হিংসা, সন্ত্রাস রুখতে কমিশন নির্দয় হবে, কড়া বার্তা রাজীব কুমারের
তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট হয়েছিল আট দফায়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট করা হয় সাত দফায়। তখন কোভিডের যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এখন কী আছে যে সাত দফায় ভোট করতে হচ্ছে।
এদিন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার কিছুক্ষণ আগেও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা আগেও বলেছি। এখনও বলছি, আমাদের স্ট্যান্ডে অনড়। আমরা এক দফায় ভোট চাই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তবে যত দফাতেই ভোট করুক না কেন, তৃণমূলই জিতবে। ওরা যত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবে, তত বেশি ভোটে আমরা জিতব। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল ৩০ থেকে ৩৫ টি আসন পাবে। আরও কতটা এগিয়ে যাওয়া যায়, সেটা আমরা দেখছি। বিজেপিকে তিন-চারটের মধ্যে আটকে রাখা যায় কি না, তারও চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, বাম-কংগ্রেস শূন্য পাবে।
অন্য খবর দেখুন