কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় ফের কংগ্রেসের দ্বিচারিতার সমালোচনা। সোমবারের জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে ইডি তলব করায় দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ আন্দোলনকে কটাক্ষ করা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এইবার কংগ্রেসের আসল মুখটা বেরিয়ে এসেছে। লেখা হয়েছে, ‘আসলে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি হাটখোলা করে দেয় রাজনৈতিক দলের ন্যায়-নীতির অন্তরআত্মাকে। যেটা হয়েছে কংগ্রেসের।’
তৃণমূল মুখপত্রে কংগ্রেসের দুমুখো নীতির সমালোচনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলায় এজেন্সির উৎপাত হলে বড় বড় কথা, আর কংগ্রেস নেতাদের সেই এজেন্সি ডাকলেই দেশজুড়ে ইডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামিরও একটা সীমা থাকা দরকার।’ এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি তদন্তকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর কথা কথায় তুলোধনা করেছেন। সেকথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসকে শেল বিঁধেছে তৃণমূল।
‘বীরবলের গল্প’ শিরোনামে সম্পাদকীয়তে আকবর-বীরবলের একটি প্রচলিত হাসির কাহিনির উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে রাজসভায় আসা এক বহুভাষীর প্রকৃত মাতৃভাষা কী, সেটি উদ্ধার করেছিলেন বীরবল। সেই কাহিনির উল্লেখ করে তৃণমূল বলেছে, এতদিন কংগ্রেস সিবিআই-ইডি নিয়ে বাংলার সরকারকে এক হাত নিয়েছে। আর এখন সোনিয়া-রাহুলকে তলব করতেই কংগ্রেসের আসল মুখটা বেরিয়ে এসেছে। সব মিলিয়ে এই সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসের দ্বিচারী-দুমুখো রাজনীতির কড়া নিন্দা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Alipoor Zoo: আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ল শিম্পাঞ্জি
কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিতে অবিজেপি শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন, সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস প্রসঙ্গে এই বিরূপ সম্পাদকীয়র অর্থ কী? ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই হল বিরোধী ঐক্যের শক্তি পরীক্ষা। জাতীয় স্তরে কংগ্রেস দলটি ধীরে ধীরে তলানিতে পৌঁছচ্ছে। যদিও এখনও দুটি রাজ্যে এককভাবে ও অন্যান্য প্রদেশেও সামান্য টিকে রয়েছে রাহুল-সোনিয়ার দল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে পদ্ধতি, তাতে কংগ্রেসের ভোট ছাড়া বিজেপি প্রার্থীকে পরাস্ত করা অঙ্কের হিসেবে অসম্ভব। ফলে অবিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হলে মমতা-সোনিয়াকেও এক মঞ্চে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং মমতার ডাকা বিরোধী-বৈঠকের আগে জাগোবাংলার এই সম্পাদকায় নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে।