কলকাতা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এবার আসরে নামল বিজেপি৷ কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুক্রবার তিনি বলেন, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই৷ গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ এখানে শাসকের শাসন চলছে৷ সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি৷’
আরও পড়ুন: গ্রামে ঢুকতে বাধা, বীরভূমে জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানাল বিজেপি
চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চে ৫০ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন৷ রিপোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়া জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
২১ জুন সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে কমিশন। কমিশনের সদস্য রাজীব জৈনের নেতৃত্বে ওই দলটি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে। তার পর হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন। ওই রিপোর্টে সিবিআইকে দিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷
আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত ছাড়াও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে দ্রুত মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছে। রাজ্যের ভূমিকার নিন্দা করে কমিশন অভিযোগ করেছে, অপরাধীদের গ্রেফতার না করা একটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা। যা একেবারেই কাম্য নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের ভুয়ো টিকার একমাস পর ভ্যাকসিন পেল সোনারপুর
কমিশনের রিপোর্টের পরই গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হিংসার ঘটনার বিরোধিতা করি৷ ছোটো ছোটো কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে৷ ভোটের সময় যখন সন্ত্রাস হয়েছে তখন দায়িত্বে কমিশন৷ আইনশৃঙ্খলা কমিশনের দায়িত্বে ছিল৷ কমিশনের নামে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে৷’