কলকাতা: অবশেষে বিধানসভায় পেশ হল পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল (The West Bengal University Laws Amendment Bill 2022)। সোমবার এই সংশোধনী বিলটি পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আলোচনায় অংশ নেন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, শিল্পমন্ত্রী তথা প্রক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
এই বিলকে সমর্থন জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুঞ্জি কমিশনের সুপারিশকে সামনে রেখে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু প্রভৃতি একাধিক রাজ্য আচার্য পদে রাজ্যপালকে রাখতে অনীহা প্রকাশ করেছে। রাজ্যপালের তুমুল ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার কিছু পদক্ষেপ করার কথা ভাবে। আমরা সরকারের প্রধানকেই আচার্য পদে দেখতে চাই। আরও অনেক রাজ্যও একই পথে হাঁটছে। কেরল ও পঞ্জাব সরকারও এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শিক্ষা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরমে উঠেছে। একাধিকবার ধনখড় অভিযোগ করেছেন, তাঁর সম্মতি না নিয়েই রাজ্য সরকার বেআইনিভাবে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। আচার্য হিসেবে উপাচার্যদের বৈঠক ডেকেও হতোদ্যম হতে হয়েছে রাজ্যপালকে। বেশ কয়েকবার তিনি বৈঠক ডাকলেও রাজ্যের পরামর্শ মতো কোনও উপাচার্যই সে সব বৈঠকে হাজির হননি। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মদতে উপাচার্যরা ইউনিয়নবাজি (Unionism) করছেন।
আরও পড়ুন: Katwa Renu khatun: কবজি হারালেও জীবনের নতুন লড়াই শুরু রেণুর, হাসপাতাল থেকে ফিরলেন
এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী প্রস্তাব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই পদে বসানো হবে। সম্প্রতি ওই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। স্থির হয়, এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করা হবে। সেইমতোই এদিন সংশোধনী বিল পেশ হল। যদিও শিক্ষামহলের একাংশ এবং বিরোধীদের অভিযোগ, উচ্চ শিক্ষাকে সম্পূর্ণ দলীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই রাজ্য সরকার এই বিল এনেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য দাবি, ওই বিল বিধানসভায় পাশ হলেও তাতে রাজভবনের ছাড়পত্র মিলবে না।