কেতুগ্রাম: অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শ্বশুর বাড়ি নয় নিজের বাড়িতে ফিরলেন কেতুগ্রামের নার্স রেনু খাতুন। কবজি কাটা যাওয়ার পর সুস্থ হয়ে আজ তিনি বাড়ি ফিরছেন। একদিকে যেমন নিজেও খুশি। খুশি হাসপাতালের ডাক্তাররাও। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ স্বাস্থ্যদফতর । এদিন এই বেসরকারি হাসপাতালের প্রশংসা করেন রেণু ।
বলেন, নতুন জীবন তিনি ফিরে পেয়েছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেই তার অপারেশন হয়েছে, চিকিৎসা হয়েছে। যে টাকা সে প্রথমে জমা দিয়েছিল তার পরিবারের লোকজনকে সেই টাকা হাসপাতালে তরফ থেকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি আর ফিরতে চায় না রেণু। এবার থেকে শুরু হবে জীবন যুদ্ধ স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে।মানুষের হয়ে কাজ করতে চায় রেণু। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে সাংবাদিকদের জানালেন তিনি।
২০১৭ সালের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুনের সঙ্গে কোজলসার সরিফুল শেখের বিয়ে হয়। রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পর তিনি সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে নার্সপদে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই চাকরিতে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন তার স্বামী শরিফুল শেখ। সশরিফুলের ধারণা ছিল স্ত্রী রেণু সরকারি চাকরিতে গেলে হাতছাড়া হয়ে যাবে।
অভিযোগ যাতে চাকরি করতে না পারে সেজন্য রেণুর ডানহাতের কবজি থেকে কেটে দেয় তার স্বামী গত ৪ জুন । ওই ঘটনার পরের দিন ৫ জুন এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রেণুর বাবা আজিজুল হক। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস দু’দিনের মধ্যেই শরিফুলকে গ্রেফতার করে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আসরফ আলি শেখ ও হাবিবুর রহমানকে। তারপর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অন্যতম মাস্টারমাইণ্ড শরিফুলের মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদকে। চারজনেই এখন পুলিসি হেফাজতে আছে।