কলকাতা : পাহাড়ে ট্রেকিং করা তাঁদের নেশা। সেই নেশার বসেই ১০ অক্টোবর শেরপা সমেত ৫ জনের একটি দল গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। ৫ জনেই ছিলেন এ রাজ্যের বাসিন্দা। ট্রেকিং শেষ করে ২৪ অক্টোবর তাঁদের আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের প্রবল বৃষ্টি এবং বহু জায়গায় ধস নামার ফলে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই ৫ জনের। পরে তাঁদের প্রত্যেকেরই দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার ভোর রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছয় ৫ ট্রেকারের কফিনবন্দী দেহ।
আরও পড়ুন :একটানা বৃষ্টির ফলে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২, উত্তরবঙ্গে ৫
৫ জন ট্রেকারদের মধ্যে ছিলেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা তনুময় তেওয়ারি। সোমবার তাঁর কফিনবন্দী দেহ এসে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। তার সঙ্গে এসেছে সাগর দে, সরিত শেখর দাস, সাধন কুমার বসাক ও প্রীতম রায়ের কফিনবন্দি দেহ। পরিবারের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁরাও এদিন সকাল থেকে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এত দুর্যোগের মধ্যে প্রাণ হাতে করে বাড়ি ফিরেছেন বাঁকুড়ার ৭ অভিযাত্রী। ট্রেকিং করতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডে হারিয়ে গেছিলেন তাঁরাও। যার ফলে প্রবল উৎকণ্ঠায় ছিলেন বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর পরিবার। অবশেষে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। সোমবার তাঁরা কলকাতায় এসে পৌঁছান। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জখম অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন।