কলকাতা : প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীদেরও এ বার ডিমড্ ডেপুটেশনে পাঠাল কেন্দ্র। সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার কর্মীকে। দু’বছরের জন্য ডিমড্ ডেপুটেশন। দেশের একচল্লিশটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় কাজ করে থাকেন এই সব কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা। আপাতত আগামী দু’বছরের জন্য এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তারপর?
দু’বছর পর কেন্দ্রের এই কয়েক হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা। কেননা তাঁদের উপরেই তো নির্ভর করছে অসংখ্য পরিবারের ভবিষ্যৎ। সব মিলিয়ে গোটা ব্যবস্থাকে সাতটি ডিপিএসইউ অর্থাৎ ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসে ভেঙে ফেলা হয়েছে। দেশের সমস্ত জোনকে এই সাতটি ইউনিটের মধ্যেই রাখা হয়েছে। প্রতিরক্ষা শিল্প কারখানায় শুরু হয়ে গিয়েছে কর্পোরেটাইজেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে করে প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পেশাজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন : পুলিশি জুলুমের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে জেলাশাসককে ডেপুটেশন ট্রাক মালিকদের
অভিযোগ, কর্মীরা যাতে প্রতিবাদ করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের নিরাপত্তা বলে মনে করছেন কর্মীদের একাংশ। প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে এই প্রতিরক্ষা শিল্প কারখানায় তৈরি হয় দেশের অস্ত্র সরঞ্জাম। যা সরাসরি দেশের সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছয়। সেই প্রতিরক্ষা শিল্প কারখানায় কর্পোরেটাইটেজশনের ফলে, বেসরকারি প্রতিনিধিত্ব হলে নষ্ট হবে গোপনীয়তা, বিঘ্নিত হবে সুরক্ষা, বলে দাবি করছেন কর্মীরা। প্রতিবাদে শুক্রবার কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অফিসে কর্মীরা পালন করলেন ‘লজ্জা দিবস’। এ নিয়ে আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর দলের সাংসদরা বিভিন্ন সময় সংসদের উভয় কক্ষে সরব হয়েছিলেন। ফ্যাক্টরি বোর্ডের অফিস সহ দমদম অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, গান সেল ফ্যাক্টরির কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সাংসদ দোলা সেন, সৌগত রায়ের মত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।