কলকাতা: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম (Nandigram)। দিল্লি যাওয়ার পথে ফের বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এর আগে অবশ্য বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) একই কথা বলেছিলেন। যখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে, তখনই শীর্ষনেতৃত্বের তলবে দিল্লি উড়ে গেলেন শুভেন্দু-সুকান্ত । সূত্রের খবর, সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি কী তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন তারা। দেখা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বঙ্গ সফরে আসছেন। সেই সফর নিয়ে কথা হতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সঙ্গে। শনিবার শুভেন্দু বলেন, বছরের পর বছর ধরে ওখানকার মানুষ অত্যাচারিত হয়েছেন। সন্দেশখালিবাসী বশ্যতা বিরোধী সংগ্রামে নেমেছেন। নন্দীগ্রামে যে যে কারণে মানুষের ক্ষোভ ছিল এখানে সব ক’টা কারণই রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ, মহিলাদের নির্যাতন, সাধারণ মানুষকে শোষণ সব কিছুই যেমন নন্দীগ্রাম দেখেছে, এখন সন্দেশখালি দেখছে। তবে যেটা নন্দীগ্রামে ছিল না সেটা এখানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে ২০১৩ সাল থেকে কেউ ভোট দিতে পারেননি।
শুভেন্দু দাবি, আমি সন্দেশখালিতে বামপন্থী ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি ,ওরা বলেছেন বিজেপিকে ভোট দেবে। আপনারা দেখেছেন সেদিন বৃন্দা কারাত গিয়েছি। সন্দেশখালি যেতে হাই কোর্টের অনুমতি লাগেনি। যেহেতু সিপিএম করেন, সেটিংটা আছে।মানুষ কাকে গ্রহণ করেছেন সেটা সবাই দেখেছেন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৯)
এর আগে দিলীপ ঘোষও প্রায় একই দাবি করেছিলেন, সন্দেশখালি নন্দীগ্রাম হতে চলেছে। ওই জায়গা কোনওদিন কন্ট্রোলে ছিলই না। আজ পুলিশ আধিকারিক এবং তৃণমূলের নেতারা যাচ্ছেন। বছরের পর বছর ওখানে অত্যাচার হয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন? আজ মানুষের পিঠ দেওয়ালে থেকে গিয়েছে। তারা রাস্তায় নেমেছেন। নন্দীগ্রাম একটা গেম চেঞ্জার ছিল। এটা দেখেও বহু মানুষ প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাবেন। রাজিব কুমার গিয়ে বলছেন ৮ দিনে ঠিক করে দেব। কোথায় ছিলেন? দিনের পর দিন ধর্ষণ অত্যাচার হয়েছে। থানায় গিয়ে ফিরে এসেছেন। অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিশ অভিযোগকারীদের থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যে সন্দেশখালির মতো এরকম বহু জায়গা আছে। নন্দীগ্রামের মতো পরিস্থিতি অনেক জায়গায় তৈরি হবে। সাধারণ মানুষ নিজের হাতে ঝাণ্ডা তুলে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিচ্ছেন। তারা এখন কোনো পার্টিকেও খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মানুষকে নিজের রাস্তা নিজেই খুঁজে নিতে হচ্ছে।
অন্য় খবর দেখুন