রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নিজস্ব ক্লাব শ্রীভূমির পুজোয় এবার রেকর্ড যানজট সামাল দিতে বিধানগরর কমিশনারেটকে ৬ দফা দাওয়াই দিলেন লালবাজারের ট্রাফিক কর্তারা। বিধান নগরের ডিসি (ট্রাফিক) বিশপ সরকারকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে এই দাওয়াই দেওয়া হয়। তাতে স্পষ্ট বলা হয়, এরপরেও যানজট যদি সামাল দেওয়া না যায় তাহলে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কর্তারা বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন। এরপরেই শ্রীভূমির পুজোয় যানজট সামাল দেওয়ার বিষয়ে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ এবং বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের যৌথ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেইমতো আগামীকাল, বৃহস্পতিবার এই যৌথ অনুসন্ধান হবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
শ্রীভূমির পুজোয় প্রতিবছরে ই দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপ থাকে। সেই চাপ গত বছরের পূজোয় রেকর্ড মাত্রা ছাড়ায়। এর ফলে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে ভিআইপি রোড জুড়ে। তীব্র যানজটের প্রভাব পড়ে উত্তর কলকাতাতেও। যানজট দেখা যায় মা ফ্লাইওভার পর্যন্ত। চিন্তায় পড়ে যান লালবাজারের ট্রাফিক কর্তারা। যানজট সামাল দিতে ছুটতে হয়েছিল বিধান নগরের নগরপাল সুপ্রতিম সরকারকে। শেষ পর্যন্ত শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ প্রশাসন।
তাই এবার আগাম সর্তকতা হিসেবে বুধবার লালবাজারে বিশেষ বৈঠক বসে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে ছিলেন যুগ্ম নগর পাল (ট্রাফিক) সন্তোষ পান্ডে এবং ডিসি (ট্রাফিক) সুনীল কুমার যাদব। বিধান নগরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (ট্রাফিক) বিশপ সরকার। এই বৈঠকে বিধাননগরকে ৬ দফা দাওয়াই দেন কলকাতার ট্রাফিক কর্তারা। সেগুলি হল- ১) ভিআইপি রোডের সার্ভিস রোড বাদ দিয়ে অন্য কোন রাস্তায় দর্শনার্থীদের দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। ২) ভিআইপি রোডের সাবওয়ে দিয়ে পথচারীদের পারাপার করাতে হবে। ৩) ভিআইপি রোডের ওপর দিয়ে কোন পথচারী রাস্তা পারাপার যাতে না করতে পারে তার জন্য ভালো করে ব্যারিকেড তৈরি করতে হবে। ৪) পুজোর কটা দিন যানজট সামাল দিতে ভিআইপি রোডের উপর যথেষ্ট পরিমাণে ট্রাফিক পুলিশ রাখতে হবে। ৫) এরপরেও যদি দেখা যায় ভি আই পি রোডে যানজটের চাপ রয়েছে তখন কলকাতা থেকে বিমানবন্দরগামী গাড়িগুলি চিংড়িঘাটা থেকে নিউ টাউন হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ৬) এয়ারপোর্ট থেকে কলকাতায় আসা গাড়িগুলি পাঠানো হবে নিউ টাউন দিয়ে।