কলকাতা: বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের আড়াই মাসও কাটেনি৷ এর মধ্যে প্রকাশ্যে চলে এল বঙ্গ বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের কোন্দল৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাজকর্ম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Kha)৷ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘নিজের মতো করে দলটাকে চালানোর চেষ্টা করবেন না৷ বিজেপি অনেক বড় দল৷ যিনি বিরোধী নেতা হয়েছেন তাঁকে বলব আয়নাতে গিয়ে মুখটা দেখতে৷’
আরও পড়ুন: সৌমিত্রর কথা সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভালো, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
বুধবারই রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতির পদ ছাড়েন বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ ফেসবুক পোস্টে ইস্তফার কথা জানান তিনি৷ পদ ছাড়লেও সৌমিত্র খাঁ দল ছাড়ছেন না৷ বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির উপর পূর্ণ আস্থা থাকবে৷ যতদিন বেঁচে থাকব বিজেপি করব৷ বিজেপি একমাত্র দেশকে এগিয়ে নিতে যেতে পারে৷’
দলকে স্তুতিতে ভরিয়ে দিলেও শুভেন্দুকে বিন্দুমাত্র রেয়াত করেননি বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ শুরু থেকে শেষ সৌমিত্রের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ দিলীপ ঘোষকেও ছেড়ে কথা বলেননি সৌমিত্র৷ তিনি জানান, রাজ্য সভাপতি অর্ধেক কথা তো বোঝেন না৷ বিধানসভায় যিনি দলনেতা হয়েছেন তিনি নিজেকে জাহির করছেন৷ যেভাবে চলছে তাতে যুব মোর্চা চালানোটা মুশকিল ছিল৷ বিজেপিতে আমি কোনও লোভ নিয়ে আসিনি৷
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা থেকে বাদ বাবুল ও দেবশ্রী, আসছেন নিশীথ, শান্তনু
শুভেন্দুর বারবার দিল্লি যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন সৌমিত্র৷ বলেন, ‘বাবা বা ভাইকে কোনও পদে বসানোর জন্য দিল্লিতে দরবার করছেন৷ বারবার দিল্লিতে গিয়ে উল্টো-পাল্টা বুঝিয়ে আসছেন৷ যেন মনে হচ্ছে, তিনি বিজেপির জন্য জীবনটা দিয়ে দিয়েছেন৷ আমাদের কোনও অবদান নেই৷ আমি কখনও ঘরের লোকের জন্য পদ চাইনি৷’ দলকে সতর্ক করে সৌমিত্র বলেন, ‘বিজেপি এখানে যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না৷ আমাদের এত কর্মী মারা গিয়েছে৷ এটা দুঃখের৷ আমরা তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী৷’
সৌমিত্রর বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিরোধী নেতাকে বলব যার নেতৃত্বে ও যাকে মু্খ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিতে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত৷’