কলকাতা: উচ্চশিক্ষা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের পারদ ক্রমশই চড়ছে। আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য রজত কিশোর দেকে সরিয়ে দেন রবিবার। সোমবার উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে রজতকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। সেইমতো রজত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছেন।
বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও উপাচার্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে কাজ করতে পারবেন না। কারণ দফতরের ওই নির্দেশ বেআইনি। তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। এ ব্যাপারে যেন উপাচার্যরা সতর্ক থাকেন। শিক্ষা মহল মনে করছে, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে জটিলতার কারণেই রাজভবন এই কড়া অবস্থান নিল। রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপাচার্যদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত খারিজ করা হল।
রজতকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই লোকটার পাগলামি এবং বোকামি দেখে দেখে রাজ্যবাসী ক্লান্ত। তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যপাল বলেন, আমি জুনিয়র এপয়েন্টির কথার জবাব দিতে চাই না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজভবন এবং নবান্নের এই সংঘাত কদর্য রূপ নিতে চলেছে। দুই পক্ষই নিজেদের ইগোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমনিতেই এখন ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছেমতো রাজ্যপাল নিয়োগ করছেন এবং বসিয়ে দিচ্ছেন বলে রাজ্যের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।