কলকাতা: লক্ষ্য ছিল কলকাতা পুলিশের লোগো সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া। সেই লোগো লাগানো বেশ কিছু দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস সহ কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের লেখা বই বিক্রির বিপণী করেছিল লালবাজার। এবার সেই বিপনীকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগী হয়েছেন নগরপাল সৌমেন মিত্র। যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।
লালবাজারের বাহির গেটের কাছে কয়েক বছর আগেই তৈরি হয়েছিল এই বিপনী। যা আবার নতুন করে সেজে উঠতে চলেছে। সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগ সেই বিপণী নতুন করে তৈরীর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে খুব শীঘ্রই। পুরানো সেই বিপনীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং পথচলতি মানুষের নজরে খুব সহজেই আনতেই বিপনীর সামনের রেলিং খুলে ফেলা হয়েছে৷ সেই জায়গায় ছোট ছোট গাছ দিয়ে সৌন্দর্যায়ণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-উপ নির্বাচনের উপযুক্ত সময় এখনই, রাজ্যের সুরেই দিল্লিকে জানাল কমিশন
এমনকী, বাইরে থেকে বিপণার ভিতরটা যাতে স্পষ্ট দেখা পাওয়া যায়৷ তার জন্য সামনের অংশ পুরোটাই স্টেনড গ্লাস বসানো হয়েছে। লালবাজারে এক কর্তা জানান, সাধারণ মানুষকে আকর্ষিত করার জন্য বিপণীর আইটেমের সংখ্যা আগের থেকে আরও বেশি বাড়ানো হবে। এবং সেটি খুব শীঘ্রই নবরূপে উদ্বোধন করবেন নগরপাল।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তান ক্রিকেট টিমকে টেস্ট ম্যাচ খেলার অনুমতি দিল তালিবান
সূত্রের খবর, এই বই বিপণীতে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অতিরিক্ত কমিশনার সুপ্রতিম সরকারের লেখা ‘গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’ থেকে শুরু করে একাধিক উল্লেখযোগ্য বই পাওয়া যাবে৷ যে বই গুলি থেকে বাস্তবের ফেলু-ব্যোমকেশদের কাহিনী পাঠকরা জানতে পারবে৷ স্টোনম্যান কাণ্ড থেকে শুরু করে শহর কলকাতার একাধিক রহস্যময় ঘটনার তদন্তের গতি প্রকৃতি বিষয়ক বই পাওয়া যাবে।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, কলকাতা পুলিশের ইতিহাস, উল্লেখযোগ্য ঘটনার তদন্ত, নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশে বড় রদ বদল ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক বই পাওয়া যাবে৷ আমরা কলকাতা পুলিশ চেষ্টা করব পাঠকের চাহিদা মেটানোর। তাই, আগের থেকে বইয়ের সংখ্যা বাড়োনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বই কাগজের গুণমাণ ভালো রেখে যতটা সম্ভম কম দামে বই বিক্রির চেষ্টা করা হবে।