কলকাতা: রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানাল জাতীয় এসসি কমিশন। সন্দেশখালি নিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টেই তারা বলেছে, সংবিধানের ৩৩৮ ধারা অনুযায়ী সন্দেশখালিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। সেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে সরকারি মদতে। এই অবস্থায় কমিশন চায়, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। শাসকদল অবশ্য বলেছে, বুকের পাটা থাকলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখাক কেন্দ্র।
কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। চেয়ারম্যান অরুণ হালদার শুক্রবার দিল্লিতে বলেন, আমরা যখন গতকাল সন্দেশখালিতে যাই, তখন শাহজাহান এবং তার বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসের পরিস্থিতি কায়েম করেছিল। তার জন্য স্থানীয়রা কথা বলতে ভয় পেয়েছেন। বলা হয়েছিল, কমিশন চলে যাওয়ার পরেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হবে। অরুণ জানান, তাঁরা সন্দেশখালি থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে্ কথা বলতে। কিন্তু কমিশনের সদস্যদের দেখে থানা ছেড়ে অফিসাররা পালিয়ে যান। তিনি বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি এক কথায় ভয়াবহ। আদিবাসীরা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় কমিশন মনে করে, অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা দরকার।
আরও পড়ুন: এবার বাধা কংগ্রেসকে, মুখ্যমন্ত্রীকে নৃশংসতার রানি বলে কটাক্ষ অধীরের
বৃহস্পতিবার জাতীয় এসসি কমিশনের সাত সদস্যের একটি দল সন্দেশখালিতে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান অরুণ হালদার স্বয়ং। তার আগের দিনই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এসসি কমিশন যেন সন্দেশখালিতে না যান। আমরা আপনাদের ঢুকতে দেব না। সাহস থাকলে আপনারা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে যান। বাংলায় আসবেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বৃহস্পতিবার কার্যত বিনা বাধাতেই জাতীয় এসসি কমিশনের সদস্যরা সন্দেশখালিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে তাঁদের বাধা না দিলেও পুলিশ ওইদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেয়নি। রামপুরের কাছে পুলিশ শুভেন্দুদের বাস আটকে দেয়। শুভেন্দুরা পরে বাস থেকে নেমে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার পুলিশ সেই রামপুরেই বাধা দেয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং তাঁর সঙ্গীদের।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট (পর্ব-৩)