কলকাতা: দু’দিনের সফরে আজ শুক্রবার রাজ্যে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু আজ থেকেই বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। সূত্রের খবর, এদিন রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ আরামবাগে দুপুর ৩টে নাগাদ সভা রয়েছে মোদির। সেখান থেকে রাজভবনে (Rajbhawan) ফিরে এদিন বিকালেই মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদি। বকেয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য-কেন্দ্রের টানাপোড়েন চলছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবার রাতটা রাজভবনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে। ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল। ড রোডে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে এদিনের বৈঠকে কাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাতে রাজভবনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, আগামীকাল কৃষ্ণনগরে জনসভা করবেন মোদি । সভার পর ধানবাদ থেকে হেলিকপ্টারে আরামবাগে আসবেন মোদি। সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি সভায় বক্তব্য় রাখবেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
আরও পড়ুন: মোদি-শাহ সহ ১০০ আসনে বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত!
বাংলা থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি, তখন এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বঙ্গ সফর করবেন নরেন্দ্র মোদি। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এবং বারাসতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার অবশ্য ভালো ব্যবধানেই জেতেন। মহুয়া অবশ্য এখন বহিষ্কৃত সাংসদ। তিন মহিলা সাংসদের কেন্দ্রে মোদির সভা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মহুয়া এবং অপরূপা তাঁদের এক্স হ্যান্ডেলে তা নিয়ে ব্যঙ্গও করেন। সন্দেশখালিকে ঘিরে বাংলায় যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে রাজ্যের শাসকদল কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। এই আবহে মোদির সফর রাজ্য বিজেপিকে কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্য খবর দেখুন