কোভিদের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বুধবার একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে শিশু ও তাদের মায়েদের ওপর। ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের মায়েদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। জুলাই মাসের মধ্যে শিশুদের জন্য সাড়ে ৩০০ এসএনসিইউ বেড সরকারি হাসপাতালে তৈরি করা হবে। ১ থেকে ৯০ দিনের শিশুদের জন্য সাড়ে ৩০০ এসএনসিইউ তৈরি করা হবে সরকারি হাসপাতালে। ১০ হাজার জেনারেল বেড তৈরি করা হবে জুলাই মাসের মধ্যে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। সেই চাহিদার মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য সরকার একটি পরিকল্পনা করেছেন। কোথাও বসানো হবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার, কোথাও প্ল্যান্ট বসানো হবেল আবার কোথাও পাইপের সাহায্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশ কাজই হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে আরও ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত দু’কোটি টিকাকরণ করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিদিন তিন লক্ষ ডোজ টিকাকরণ করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন চার লক্ষ করে টিকাকরণ করা হবে। জুলাই মাসের মধ্যেই ৭০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছিল। তাঁর দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা অনেকটা কমিয়ে আনা যাবে।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছেন তাঁদের কোভ্যাক্সিন নেওয়া থাকলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁরা কেউই বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে না। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লিখবে রাজ্য সরকার। ‘কোভ্যাক্সিন প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে আবিষ্কার হয়েছে। কেন্দ্রের উচিত এই বিষয়ে তাড়াতাড়ি হস্তক্ষেপ করা। দরকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলে কোভ্যাকসিন কে যাতে নথিভুক্ত করা যায়। তার ব্যবস্থা করা উচিত।’ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।