কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রগতিশীল বিরোধীদের জোট গড়তে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলের বৈঠক ডাকলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। অবিজেপি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সমস্ত বিরোধী নেতা নেত্রীকে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাডুর এম কে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান রয়েছেন। এছাড়াও চিঠি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, আরজেডির সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমার স্বামী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, পিডিপির সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি, শিরোমণি অকালি দলের সুখবীর সিং বাদল, সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের পবন চামলিং এবং আইইউএমএল-এর কে এম কাদের মহিউদ্দিনকে।
এদের মধ্যে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডির সঙ্গে অবশ্য বিজেপির সম্পর্ক বেশ ভালো। এছাড়া বাকি সকলেই তীব্র বিজেপি বিরোধী। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। দুদিন আগেই অসুস্থ অবস্থাতে সোনিয়া ফোনে কথা বলেন মমতা, ইয়েচুরি এবং শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। সোনিয়ার এই উদ্যোগের পরেই মমতার চিঠি দেওয়া রাজনৈতিক মহলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে অবশ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী দেওয়া নিয়ে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তৎপর হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Howrah Unrest: অশান্তির জের! বদলি হাওড়ার পুলিস কমিশনার, দায়িত্বে প্রবীণ ত্রিপাঠি
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, দেশে এই মুহূর্তে গণতন্ত্র এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। একটি শক্তিশালী বিরোধীর জোট এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, রাষ্ট্রপতিই হচ্ছেন দেশের গণতন্ত্রের অন্যতম পাহারাদার। দেশে গণতন্ত্র যখন একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শক্তিশালী বিরোধী জোট বা কন্ঠস্বর থাকাটা খুব জরুরি। চিঠিতে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে প্রগতিশীল সমস্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে দিয়ে বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলে আজ প্রায় ভুলুন্ঠিত। এই অবস্থায় বিরোধীদের শক্ত প্রতিরোধের প্রয়োজন।