কলকাতা: মহেশতলায় বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সত্যিই কি দুর্ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য। অগ্নিকাণ্ডে মৃতা সোমা মণ্ডল ওরফে পুষ্পর আত্মীয়দের অভিযোগ, সোমার দুই ছেলে তার আগের স্বামীর। তা নিয়ে প্রতিদিনই অশান্তি লেগেই থাকত। সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী প্রভাস মণ্ডলকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সোমার পরিবার সূত্রে খবর, চেতলার বাসিন্দা সোমার দুই সন্তান রাহুল ও সাহেব তার আগের স্বামীর। খুব কম বয়সে স্বামী মারা যাওয়ায় পরিবারের লোক আবার বিয়ে দিয়েছিল তার। ২০১৫ সালে প্রভাস মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোমার। চেতলাতেই গাড়ি চালাতেন প্রভাস। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। ওই দুই সন্তান আগের স্বামীর হওয়ায় তাদের একেবারেই পছন্দ করতেন না প্রভাস। সেই কারণেই ইচ্ছাকৃত বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমার বাড়ির পাশেই একটি দোকানে রাতে থাকতেন প্রভাস। প্রায়শই বাড়িতে বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যেতেন তিনি। তাই আগুন লাগার পরও বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি সোমা।
আরও পড়ুন: Santiniketan Rape: শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা ও মায়ের সঙ্গে কথা রাজ্য মহিলা কমিশনের
শনিবার মধ্যরাতে মহেশতলার আক্রা এলাকায় ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের তিনজনের। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মা ও দুই ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম সোমা মণ্ডল, সাহেব মণ্ডল এবং রাহুল মণ্ডল। কীভাবে আগুন লাগল বাড়িটিতে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ছিল, ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। আগুন লাগলেও কেন টের পেলেন না সোমা? সাহায্যের জন্য কেনই বা চিৎকার করলেন না? এদিকে দুর্ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি করছেন সোমার স্বামী। দুর্ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সত্যিই দুর্ঘটনা না কি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।