কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আলিয়ার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটা বরদাস্ত করা যাবে না। যাঁকে এই অসভ্যতা করতে দেখা গিয়েছে সেই ছেলেটিকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী যাঁর ছত্রছায়ায় তিনি রাজনীতি করেন তাঁকেও আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা পরিকল্পনা করে ভাইরাল করা হয়েছে। পরিকল্পিত অসভ্যতা যে বা যাঁরা করেছে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা করেছে তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। উপাচার্যকে বলা হয়েছে এফআইআর করার জন্য। ঘটনায় যুক্তদের নাম করে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর অভিযোগ ছিল বলে অনেক আগেই তৃণাঙ্কুর এদের সরিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে কুণাল।
অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিনের দাবি, পিএইচডি এডমিশন নিতে গেলে রেট নামে একটা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় কিছু ছাত্র যাদের পড়াশোনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাঁদের এডমিশন হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রদেরকে প্রশ্ন আগে থেকে দিয়ে দিয়েছিলেন উপাচার্য বলে অভিযোগ গিয়াসউদ্দিনের। সেকারণে তিনি উপাচার্যের ঘরে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শেষে জোর করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে গিয়ে এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন। গিয়াসউদ্দিন আরও জানান, ওইদিন যে প্রতিবাদ তিনি করেছিলেন প্রতিবাদের পদ্ধতিটা ভুল ছিল। তবে তাঁদের দাবি সঠিক ছিল। ওইদিন তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সমাজে একটি শিক্ষিত ছেলের মুখে নিন্দনীয়। সে কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতায় কবে? জেনে নিন
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোলাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সহ একাধিক অভিযোগে কিছুদিন আগে বহিষ্কার করা হয় গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই ছাত্রনেতাকে। বহিষ্কারের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনজন বহিরাগতকে নিয়ে ঢোকেন তিনি। কলেজের পিএইচডি লিস্টে স্বজনপোষণ করেছে উপাচার্য, এমন অভিযোগ তুলেই বচসার শুরু হয়। তারপর শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মারার হুমকি। ভিডিয়োতে উপাচার্যকে লক্ষ করে বলতে শোনা গেছে, এই আলিয়ার বেহাল অবস্থা কে করেছে? আলিয়ার বেহাল অবস্থা করার জন্য তুইই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের শান্ত করানোর চেষ্টা করলে তাদেরও গালাগালি দিতে শোনা যায় বহিরাগত ছাত্রদের।