কলকাতা: বিজেপি-র কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় অবাঙালির সংখ্যা নজরকাড়া৷ কলকাতা জেলার ১১টি বিধানসভার প্রায় প্রতিটিতেই কম-বেশি অবাঙালি প্রার্থী রয়েছেন৷ যা তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে বেশি৷ বিশেষ করে, কলকাতার অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি অবাঙালি প্রার্থীর উপরই জোর দিয়েছে ৷ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বিজেপি প্রার্থী অবাঙালি৷ যদিও সাফাই দিয়েছে বিজেপি৷ রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভাষার রাজনীতি করে না বিজেপি৷ এটা তৃণমূলের রীতি৷ বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দল সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান সুযোগ দেয় রাজনীতিতে৷’
বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকাতেও অবাঙালি প্রার্থী রয়েছেন৷ তৃণমূলের শেষ পুরবোর্ডে রাম পেয়ারে রাম, আমিরুদ্দিন ববির মতো অবাঙালি মেয়র পারিষদও ছিলেন৷ এ বারও তাঁরা প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন৷ অন্য দিকে, বিজেপি-র প্রাক্তন কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝার সঙ্গে আরও বহু নতুন অবাঙালি মুখকে প্রার্থী করেছে বিজেপি৷ তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধেও অবাঙালি প্রতাপ সোনকারকে প্রার্থী করা হয়েছে৷
বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেতে দেরি হওয়ায় অনেক প্রশ্নও উঠতে শুরু করছিল৷ বিজেপি সূত্রে দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ায় কলকাতা পুরভোটের কৌশল ও প্রার্থী নির্বাচনে বিলম্ব৷ সূত্রের আরও দাবি, কলকাতা পুরনির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল বিজেপি কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা৷ রাজ্যস্তরের নেতাদের সে ভাবে প্রভাব ছিল না৷ দুই সাংগাঠনিক জেলা এলাকা ভিত্তিক পর্যালোচনা করেই প্রার্থী নির্বাচন করেছে৷ তাতে বাঙালি-অবাঙালি খোঁজা ভুল হবে৷ বরং, পদ্ম শিবির তাঁদের প্রার্থী তালিকায় মহিলাদের প্রাধান্য দিয়েছে। তরুণ ব্রিগেডের ওপর আস্থা রাখা হয়েছে। আর তাই, ১৪৪টি আসনের মধ্যে ৫০ জন মহিলা এবং ৪৮ জন নবীন প্রজন্ম। তালিকায় ৪ জন শিক্ষক-অধ্যাপকও আছেন।
আরও পড়ুন-সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পুজো দিয়ে উদ্ধবের সুস্থতা কামনা মমতার