কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মান্যতা পেল বিরোধীদের দাবি৷ সিপিএম-বিজেপির দাবি মেনে পুরভোটে ব্যবহৃত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের (CCTV Footage Preservation) নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি সংরক্ষণের তালিকাতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷ শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়েছে আদালত৷
কলকাতা পুরভোটে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা খারিজ করে সমস্ত বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ কমিশনকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ কিন্তু পুরভোটের দিন হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা৷ ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তারাতলা সংলগ্ন গড়াগাছা এলাকার অধিকাংশ বুথেই নেই সিসি ক্যামেরা৷ আবার অনেক বুথে সিসি ক্যামেরা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে৷
২৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সমস্ত বুথের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, ইভিএম এবং পোলিং অফিসারদের ডায়েরি সংরক্ষণের দাবি জানায় সিপিএম এবং বিজেপির আইনজীবী৷ বিজেপির দুই আইনজীবী সুবীর সান্যাল এবং বিল্লোদন ভট্টাচার্য হাইকোর্টকে জানিয়েছিলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও সেগুলো সঠিকভাবে কাজ করেনি৷ কোথাও আউট অফ ফোকাস ছিল৷ কোথাও ঠিক মতো সংযোগ করা হয়নি৷ আবার অনেক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা কাগজ দিয়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল৷ তাই তাড়াতাড়ি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন৷ না হলে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও তখন বলেছিলেন, পোলিং অফিসারদের ডায়েরিও আদালতে জমা করা উচিৎ৷ তাহলে দেখা যাবে বিরোধী এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন কি না৷
আরও পড়ুন: KMC Polls: পুরভোটে হিংসা, হাইকোর্টের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি সিপিএম-বিজেপির
ওই দিন রায়দান স্থগিত রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ শুক্রবার সেই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিল আদালত৷ হাইকোর্ট জানিয়েছে, যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে৷ প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরিও৷ একইসঙ্গে রেজিস্ট্রি (যেখানে ভোটাররা সই বা বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দেন), এবং ইভিএমের নথি সংরক্ষণ করে রাখতে বলা হয়েছে৷