কলকাতা: রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনে সব বুথে আদৌ কি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন সম্ভব হবে এই নিয়ে আগামিকাল শনিবার বৈঠকে বসবেন রাজ্যের বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক (Special General Observer) ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক (Special Police Observer)। তবে, কোন বুথে, কত বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে বা রাজ্যে আরও আনতে হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক হবে ১০ এপ্রিল। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক সহ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও তাঁর দফতরের অন্যান্য আধিকারিকেরা এবং ডিইওরা। ওই বৈঠকেই ঠিক হবে কিউআরটি সহ প্রথম দফা নির্বাচনে সমস্ত বুথে কত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সব জায়গায় যদি বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব না হয় তাহলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচলা করা হবে।
দিল্লি থেকে আজ কলকাতায় এসে পৌঁছছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা।কলকাতা বিমানবন্দরের বিকেল নামেন। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে আসেন বিশেষ পর্যবেক্ষণ অলোক সিনহা। প্রায় এক ঘন্টার বৈঠকে বুথের সার্বিক পরিকাঠামো, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল বুথের কিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে বামেদের প্রার্থী প্রতীক-উর-রহমান
অতীতের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের ভোটে বাড়তি নজরদারি চালাবে কমিশন (Election Commission)। বাংলায় নির্বাচন নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠ্ভাবে সম্পন্ন করাই একমাত্র লক্ষ্য। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বেশ কয়েক কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের নির্বাচনে বাংলাকে বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল বাংলার প্রতি বুথে বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা। ভোটের কাজে সিকিম ভলান্টিয়া ও অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা যাবে। তার মধ্যে যে গুলো বেশি স্পর্শকাতর বুথ, সেগুলিকে বিশেষ নজর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ৫ হাজার ৮১৪ বুথে আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হয়, তাহলে সংখ্যাটা সাড়ে তিনশো কোম্পানি ছাড়াবে।
অন্য খবর দেখুন