কলকাতা: পাহাড়ে ফের অশান্তি পাকানোর আভাস দিলেন দিলীপ ঘোষ। জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড় ফের অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে এসে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
রাজ্য সরকার মঙ্গলবারই জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। ভোট হবে ২৬ জুন, গণনা ২৯ জুন। বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ২৭ মে। জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই অনশনে বসবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিমল গুরুং। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, জিটিএ যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল তাতে কোনও লাভ হয়নি। সাময়িকভাবে ওখানকার আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্যই জিটিএ তৈরি হয়। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি পাহাড়ের। এখন সেই জিটিএকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে দাদাগিরি করার চেষ্টা করছেন। এই জিটিএ নির্বাচন পাহাড়বাসী চাইছে না। কোনও রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচন চাইছে না। কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন। তাঁর ওখানে পা রাখার জায়গা নেই। জোর করে নির্বাচন করতে গেলে আবারও অশান্ত হবে পাহাড়, এই বলে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি তৈরিতে ইন্ধন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
আরওপড়ুন: Karti Chidambaram: সিবিআই দফতরে হাজিরা চিদম্বরম পুত্রের
জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় বুধবার থেকে লাগাতার অনশনে বসেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। দার্জিলিং সিংমারিতে মোর্চার অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে গুরুং অনশন শুরু করেন। অনশন শুরুর আগে গুরুংকে খাদা পরিয়ে অভিনন্দন জানান দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। মোর্চার দাবি, তরাই ও ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজাকে জিটিএতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিছুদিন আগেই এই দাবিতে গুরুং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তিতে যেসব প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকগুলি এখনও কার্যকর করা হয়নি। সেগুলি কার্যকর না করে ভোট করা অর্থহীন বলে মোর্চা মনে করে।