কলকাতা: পুলিশের গুলিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর প্রতিবাদে অসম মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ চাইল ১৪টি গণসংগঠন৷ শনিবার কলকাতার অসম ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা৷ অসমের মু্খ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ছাড়াও দ্বারং জেলার পুলিশ সুপারের পদ্যতাগের দাবি জানায় তাঁরা৷
গত বৃহস্পতিবার ধোলপুর গরুখুঁটি এলাকায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তখন কয়েক জন আন্দোলনকারী ইট-পাথর দিয়ে পুলিশ ও আধিকারিকদের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায়৷ এই ঘটনায় ২ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয় একাধিক গণসংগঠনের কর্মীরা৷
তাঁদের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ অসমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি৷ এর আগেও সিএএ-এনআরসির নামে অসমে হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিদের হেনস্তা করা হয়েছে৷ কিন্তু, এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ইঙ্গিতে পুলিশি হামলা চলেছে৷ তারই বিরুদ্ধে বাংলা সংস্কৃত মঞ্চ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে৷
আরও পড়ুন-কাজ দেখে ভোট দিন, মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে বললেন দেব
একই ঘটনার বিরুদ্ধে শনিবার ভবানীপুরে ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘বাংলায় কিছু না হলেও জাতীয় মানবধিকার চলে আসে৷ অথচ, অসমের নৃশংস ঘটনা জাতীয় মানবধিকার কমিশন দেখতে পাইনা বলে তাঁর অভিযোগ৷ ‘অসম-উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ চলছে৷ সেখানকার ঘটনা দেখতে পাইনা জাতীয় মানবধিকার কমিশন৷ বাংলায় কিছু না হলেও মানবধিকার কমিশন চলে আসে৷ মনে রাখবেন, বাংলায় এনআরসি হতে দেব না৷ এনআরসির নামে অসমে মানুষ খুন করছে! এরপরেও শিক্ষা নেই। গুতিয়ে গুতিয়ে মানুষকে খুন করে ডেডবডির উপর নাচছ? সেই সময় মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না? আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে?’ মানবধিকার কমিশন হাথরসের মতো ঘটনা দেখতে পাইনা বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷