কলকাতা: শহরে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধির জেরে বিপর্যস্ত কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে প্রায় ৬৫ জন করোনায় সংক্রামিত। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে করোনা আক্রান্ত৷ ফলে, সপরিবারে আইসোলেশনে আছেন ওই আধিকারিক৷ পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘শহর কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে৷ এক-দু’দিনের মধ্যে শিখরে পৌঁছতে পারে৷ তাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে শহরের কন্টেনমেন্টের সংখ্যা বাড়াতে প্রস্তুত পুরসভা৷’’
পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে একাধিক বিভাগের বহু কর্মী করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন করে করোনায় সংক্রামিত হচ্ছেন একাধিকজন৷ এভাবে চলতে থাকলে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে শহর কলকাতার মানুষজনকে পুর-পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে বলে মনে করছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা।
বর্তমানে শহরে ৪৮টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। করোনা সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে পারে৷ পুরসভা প্রতিদিনই সার্ভে করছে৷ কলকাতা পুলিসের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে ডেপুটি মেয় অতীন ঘোষ জানিয়েছেন৷
তপসিয়া, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন মিলিয়ে তিনি সেফহোম চালু করা হয়েছে৷ বুধবার পর্যন্ত সেখানে মাত্র ২০ জন চিকিৎসাধীন৷ গত বছরের মতো সেফ হোমের চাহিদা নেই৷ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে প্রয়োজন অনুযায়ী ৩৫০ বেডের পরিবর্তে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানান অতীন ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ সেফ হোমে ভর্তি হয়েছেন। বহুতল বাড়িগুলিতে সিংহভাগ মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে তারা নিজেরা বাড়িতে আইসোলেশন করে নিয়েছে৷ তাই, তাদের সেফ হোমে আসার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে না। বস্তি এলাকায় এখনও সেভাবে সংক্রমণ না ছড়ানোর কারণে হয়তো সেফ হোমে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না বলেও জানান অতীন ঘোষ।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় মানুষের পাশে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ১৪৪টি ওয়ার্ডে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সংক্রামিত এলাকায় স্যানিটাইজ করা চলছে। বাজারগুলিতে ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এ সমস্ত কিছুর মধ্যেও মানুষের সচেতনতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।