কলকাতা: সপ্তাহ দুয়েক আগেও ছবিটা একেবারেই অন্যরকম ছিল। দৈনিক সংক্রমণ (Covid-19 Third Wave) ঘোরাফেরা করছিল ৪০০ থেকে ৬০০-র মধ্যে। কিন্তু গত কয়েকদিনে বঙ্গে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পজিটিভিটি রেট। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মেট্রো শহরগুলির মধ্যে পজিটিভিটি রেটে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তবে জেলা শহরের হিসেবে ধরলে সংক্রমণের (Covid-19 Third Wave) নিরিখে হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি কলকাতার আগে রয়েছে। সেখানে সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ছিল ৬৩.৬৪ শতাংশ বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কলকাতায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৩৮.৩৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার ৮৯ শতাংশ আরটিপিসিআর টেস্ট এবং বাকি ১১ শতাংশ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। কলকাতা ছাড়াও বাংলার চার জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হাওড়ায় পজিটিভিটি রেট ২২.৩০ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ১২.৬৬ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০.৬৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পজিটিভিটি রেট ১০.১৮ শতাংশ। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে কলকাতা ছাড়া একমাত্র মুম্বইয়ের পজিটিভিটি রেট ১০ এর উপরে। মহারাষ্ট্রের রাজধানী শহরে পজিটিভিটি রেট ১৩.৯২ শতাংশ।
পজিটিভিটি রেট বাড়লেও আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা অনেকটাই কম। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী, অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং চিকিৎসক কুণাল সরকারদের পরামর্শ, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার একমাত্র উপায় জমায়েত বন্ধ করা। একইসঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই দুইয়ের সঙ্গে দূরত্ববিধি মেনে চললে এই ঢেউ আটকানো সম্ভব। আজ, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা ক্ষতিকর এবং সংক্রামক তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: Covid19 Big Breaking: তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে, অ্যান্টিবডি ককটেল ওমিক্রনে কাজ করবে না, বলছেন চিকিৎসকেরা