কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: লি রোডের স্বর্ণব্যবসায়ী খুনে (Businessman murder case) গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল বুধবার জানান, আমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার (Lee Road) করা হয়েছে ২৮ বছর বয়সি বিমল শর্মাকে। অনেক রাজ্যে তার খোঁজ চালানো হয়। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে হানা দিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিস। অবশেষে আমেদাবাদ থেকে পাকড়াও করা হয় তাকে।
সিপি জানান, খুনের ঘটনার পরই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে মৃত ব্যবসায়ী (murder case) এস এল বৈদের পরিবারের কাছে। মুক্তিপণ বাবদ পঁচিশ লাখ টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকা নিয়ে অভিযুক্ত ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে পালায়। পরিচয় গোপন করে সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। নিজের চেহারাও বদল করে ফেলেছিল বলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভবানীপুর থানা এলাকার লি রোডে এক অতিথিশালায় উদ্ধার হয় শান্তিলাল বৈদ নামে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর দেহ। পুলিস জানায়, শান্তিলালের সঙ্গে অতিথিশালায় ওঠে আর এক যুবকও। সে নিজেকে শান্তিলালের ভাইপো বলে পরিচয় দেয়। পরিবারের লোকজন জানান, ওইদিন দুপুরে শান্তিলাল পান খেতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের কাছে ফোন আসে। সেইমতো টাকা পৌঁছেও দেওয়া হয়েছিল। বেশিরাতে পুলিস পরিবারকে খবর দেয়, ভবানীপুরের ওই অতিথিশালায় শান্তিলালের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এরপরই পুলিস তদন্তে নামে। দিল্লি ও ভুবনেশ্বর পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিস জানতে পারে, অভিযুক্ত বিমল শর্মা দিল্লির বাসিন্দা। দিল্লি পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রে বিমল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পায় কলকাতা পুলিস। পরে পুলিস অভিযান চালায় মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়েও। কলকাতা পুলিস তার খোঁজ দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
সিপি জানান, ঘটনার রাতেই বিমল কলকাতা ছাড়ে। সে বিভিন্ন রাজ্যে পরিচয় গোপন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। বিভিন্ন হোটেলে নিজের নাম ভাঁড়িয়ে থাকছিল। তবে কোথাও বিমল খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। বেশভূষা এবং চেহারাতেও সে পরিবর্তন এনে ফেলেছিল। পুলিসকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য সে একের পর এক সুচতুর পরিকল্পনা করে। অবশেষে তাকে পাকড়াও করা হয় আমেদাবাদ থেকে। তার কাছ থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে বিমলকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।